সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ (British) আমলে বিচার ছাড়াই বহু মানুষকে জেলবন্দি করা হত। তাঁদের জেলে আটকে থাকতেও হত বহুদিন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছর পার করেও বহু মানুষকে এমনই সাজা ভোগ করতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)।
সারা বিশ্বেই বর্তমানে কলমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে এমনই অভিযোগ করেছেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন বিশ্ব জুড়ে খর্ব করা হচ্ছে স্বাধীনতা। বিচার ছাড়াই যে কোনও মানুষকে ভরে দেওয়া হচ্ছে জেলে। এ কী চলছে এ বিশ্বের এ শিক্ষিতের দুনিয়ায়? এক বিবৃতিতে অমর্ত্য স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ছোটবেলায় ব্রিটিশ আমলে এরকম দেখেছিলেন তিনি। প্রবীণ অধ্যাপক লিখেছেন, “আমি তখন তরুণ। আমি আশা করতাম, যখন ভারত ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হবে, তখন হয়তো এই অন্যায় ব্যবস্থার ইতি ঘটবে!” বর্তমান
সময়ের ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার পর যত দিন গিয়েছে, দেখেছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
ভারতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে নেবোলজয়ী অর্থনীতিবিদ এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছেন। এবার এমন একটি সময়ে তিনি সরব হলেন যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারির ঘটনায় জার্মানি ও আমেরিকার মতো দুটি দেশ কার্যত ভারতের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একই সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতেও স্বাক্ষর করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে বিপুল সংখ্যায় লেখক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে জেলে আটকে আছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর অভিযোগ নেই। যৌথ ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অমর্ত্য সেন ছাড়াও আছেন সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ (Amitav Ghosh) , কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্টজনেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.