সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের পর এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগেও জোট সংকটে বিজেপি। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নির্বাচন রাজধানীতে। তাঁর আগে জোট শরিকদের চাহিদা মেটাতে নাজেহাল অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। যা পরিস্থিতি, তাতে শেষপর্যন্ত বিজেপির দুই জোটসঙ্গী শিরোমণি অকালি দল এবং জননায়ক জনতা পার্টি (Jannayak Janata Party) একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর সেটা যদি হয়, তাহলে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও চাপে পড়ে যাবে গেরুয়া শিবির।
৭০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ২০১৫ সালে শিরোমণি অকালি দলের হয়ে জোট করে লড়েছিল গেরুয়া শিবির। গতবছর অকালি দল লড়েছিল ৪ আসনে। তার একটাও জিততে পারেননি বাদলরা। কিন্তু, এবারে তাঁদের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। এবছর তাঁরা অন্তত পাঁচটি আসনে লড়তে চাইছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছেন তাঁরা। অকালি দলের এই দাবি নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তায় নেই গেরুয়া শিবির। তাঁরা ধরেই নিচ্ছেন, আলোচনার মাধ্যমে কোনও একটা সমাধানসূত্র বের করা যাবে।
গেরুয়া শিবিরের আসল চাপের জায়গা জেজেপি। হরিয়ানা লাগোয়া দিল্লির যে সীমানা সেখানে বেশ প্রভাব রয়েছে দুষ্মন্ত চৌটালার দলের। এই প্রভাবের ফায়দা তুলতে গেরুয়া শিবিরের কাছে মোটা দর হেঁকেছেন হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, জেজেপির জন্য অন্তত এক ডজন আসন বিজেপিকে ছাড়তে হবে।
এমনিতে, দিল্লিতে অকালি দল বা জেজেপি কেউই খুব একটা প্রভাবশালী নয়। তাই, এই আসন সমঝোতার প্রস্তাব মানলে আদতে বিজেপিরই ক্ষতি। তাই গেরুয়া শিবিরের নেতারা একেবারেই জেজেপিকে ১২ আসন ছাড়তে রাজি নন। তাতেই বেঁধেছে গোল। জেজেপি নিজেদের দাবিতে অনড়। বিজেপি আসন না ছাড়লে তাঁরা নিজেরাই ১২টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে ভোট কাটাকাটিতে ফায়দা হয়ে যাবে, আম আদমি পার্টির।
জেজেপির (JJP) এই একলা চলার হুমকি ভাবাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। কারণ, হরিয়নায় তাঁদের সমর্থনেই সরকার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে দিল্লিতে জোট না হলে হরিয়ানার রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির মতো একই রকম জোট সমস্যায় কংগ্রেসও। কংগ্রেসের বিহারের জোটসঙ্গী আরজেডি এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চাইছে। তাঁদের দাবি, দিল্লিতে প্রচুর বিহারী বসবাস করেন। তাঁদের উপর লালুপ্রসাদ যাদবের প্রভাব আছে। তাছাড়া দিল্লি বিধানসভায় আগেও আরজেডির প্রার্থী জিতেছেন। এবারেও তাঁরা চাইছেন অন্তত ৮-১০ আসনে লড়তে। কংগ্রেস অবশ্য কোনও অবস্থাতেই ২-৫ আসনের বেশি ছাড়তে রাজি নয়। এই অবস্থায় দুই প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আপ। ইতিমধ্যেই তাঁদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু প্রার্থী মনোনয়নও দিয়ে দিয়েছেন। এখন জোরকদমে চলছে প্রচার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.