Advertisement
Advertisement

Breaking News

UP rape

লাগাতার ধর্ষণ করেছে স্বামী, সৎ ছেলে! রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আরজি গৃহবধূর

যোগীরাজ্যের মহিলা জানাচ্ছেন, ন্যায়বিচারে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।

Allegedly Raped by husband and stepson, UP woman writes to President seeking euthanasia। Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 23, 2022 3:28 pm
  • Updated:October 23, 2022 3:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করেছেন স্বামী, স্বামীর বন্ধু এমনকী সৎ ছেলেও! এমনই অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর কাতর আরজি জানালেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক গৃহবধূ। ৩০ বছরের ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি ন্যায়বিচারের প্রতি সমস্ত বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। তাই ইউথেনশিয়ার অনুমতি চাইছেন। তাঁর এমন চিঠিতে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

মহিলা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাওয়ার সমস্ত আশা হারিয়ে ফেলেছি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনও অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। ৯ অক্টোবর পূর্ণপুর কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলাম। কিন্তু তারপর থেকে ওরা আমাকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিচ্ছে। বলছে মুখ খুললে ভয়ংকর পরিণতি হবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান! রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]

চিঠিতে তিনি জানাচ্ছেন, তিন বছর আগে তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে। এরপর চণ্ডীগড়ের ৫৫ বছরের এক কৃষককে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ওই ব্যক্তির আগের পক্ষের ছেলে তাঁকে জোর করতে থাকেন অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। নিয়মিত বলপূর্বক ওই তরুণ তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেন বলে অভিযোগ। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করিয়ে দেওয়া হয় বলেই জানাচ্ছেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, গত জুলাই মাসে তাঁকে ধর্ষণ করেন স্বামীর এক বন্ধু, এক আত্মীয় ও দুই সহকর্মী। শেষ পর্যন্ত তিনি অভিযোগ দায়ের করেন পাঁচ অভিযুক্তের নামে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি।

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুরা কখনও ধর্ষণ করে না’, গ্রামে ফিরেই সদর্প ঘোষণা বিলকিস কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তর]

প্রসঙ্গত, পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট দীনেশকুমার প্রভু জানাচ্ছেন, যেহেতু অভিযোগটি জটিল, তাই পুলিশ একটু সময় নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে নিজের মা, দুই দাদা ও ছ’বছরের পুত্রের কাছে রয়েছেন ওই মহিলা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement