সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই রোগীকে হাসপাতালের বেডে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমাও দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এই কমিটিতে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের তরফে এই তথ্য দিয়েছেন জিসান আহমেদ।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হন দুই ব্যক্তি। তাঁদের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। গুরুতর আঘাত লাগায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছিল দু’জনের। সেখানেই ঘটে ঘটনাটি। চিকিৎসাধীন দুই রোগীর হাত ও পা শক্ত করে বাঁধা ছিল বেডের সঙ্গে। এহেন ছবি ভাইরাল হতেই বিষয়টি সামনে আসে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাশাপাশি বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুই ব্যক্তি। দু’জনেরই হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেডের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে। হাসপাতালের রোগীর সঙ্গে এই ব্যবহার করা হচ্ছে, জানতে পেরেই বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসরে নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ জানতে চাওয়া হয় হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে।
Aligarh: Two patients admitted with injuries from a Railway accident, seen lying on bed with their hands & legs tied in Emergency ward of Aligarh Muslim University’s Jawaharlal Nehru Medical College (30.03.18) pic.twitter.com/Lw8SIytiLq
— ANI UP (@ANINewsUP) March 31, 2018
এই প্রসঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এস এইচ জাইদি জানান, ‘ওই দুই রোগীকে দেখছেন হাসপাতালের বর্ষীয়ান চিকিৎসকরা। দু’জনের সঙ্গে কোনও আত্মীয় হাসপাতালে আসেননি। হাসপাতাল কর্মীরাও সব সময় দুই রোগীর পাশে বসে থাকতে পারছে না। এদিকে আমাদের হাসপাতালের বেডে কোনও সাইড গার্ড নেই। সেজন্যই বেডের সঙ্গে হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। অন্যজন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।’
গোটা ঘটনার কথা শুনে আলিগড়ের জেলাশাসক সিবি সিং জানিয়েছেন, ‘শহরের অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট চেয়েছি। অধ্যক্ষের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.