Advertisement
Advertisement

বাড়ছে আল কায়দায় নাম লেখানোর হিড়িক, অশনিসংকেত কাশ্মীরে              

‘কাফের’ হিন্দুদের রক্তবন্যা বইয়ে দেওয়ার হুমকি মুসার।

Al Qaeda rank swells in Kashmir
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 27, 2018 11:22 am
  • Updated:August 27, 2018 11:27 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে শক্তি বাড়াচ্ছে আল কায়দা। জেহাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জঙ্গি সংগঠনটিতে যোগ দিচ্ছে উপত্যকার তরুণরা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এক গোয়েন্দা রিপোর্টে।

[কাশ্মীরে বড় সাফল্য সেনার, গ্রেপ্তার সদ্য জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানো চার যুবক]

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে জঙ্গি শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক বেড়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে প্রায় ১৩০ জন কাশ্মীরি যুবক। এদের অধিকাংশই যোগ দিয়েছে উপত্যকায় আল কায়দার শাখা সংগঠন ‘আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ’-এ। পরিসংখ্যান বলছে, সব থেকে বেশি সোপিয়ান জেলার তরুণরাই যোগ দিয়েছে জেহাদি সংগঠনে। ২০১৭ সালে ১২৬ জন যুবক যোগ দেয় সন্ত্রাসবাদী দলে। আর এতেই অশনিসংকেত দেখছে প্রতিরক্ষামহল। উপত্যকায় ইসলামিক স্টেট বা আল কায়দার উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ‘ইসলামিক রাষ্ট্র’ গঠনের ডাক আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে নয়া প্রজন্মের কাছে।

গোয়েন্দাদের মতে, ‘আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ’ সংগঠনটির প্রধান জাকির রশিদ ভাট ওরফে জাকির মুসা। পুলওয়ামার বাসিন্দা এই জঙ্গিনেতা শুরুতে হিজবুলের সদস্য ছিল। তবে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দাকে সমর্থন করে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তার উগ্র ইসলাম ও ‘কাফের’দের হত্যার পরিকল্পনা তথা মগজধোলাইয়ের নয়া পদ্ধতিতে বিপথে যাচ্ছে কাশ্মীরি যুবকদের একাংশ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন অনিল গৌর (অবসরপ্রাপ্ত) জানান, কাশ্মীরে ইসলামের সুফি মতের প্রভাব বেশি। তবে আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি উগ্র ইসলামের প্রচার করছে। ফলে ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরাই এর জন্য দায়ী।  

উল্লেখ্য, রবিবার সেনার হাতে ধরা পড়ে আল বদর জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্য। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও৷ কয়েকদিন আগেই ওই সংগঠনে নাম লেখায় তারা। কয়েকমাস আগে মুসার সংগঠন একটি বিবৃতি জারি করেছিল। সেখানে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ‘পরাধীন’ ভারতকে স্বাধীন করে শরিয়ত আইন চালু করা পর্যন্ত থামবে না তারা। শুধু তাই নয়, ওই বিবৃতিতে ‘কাফের’ হিন্দুদের রক্তবন্যা বইয়ে দেওয়ার হুঙ্কারও দেওয়া হয়। জেহাদের বিষ ছড়াতে, অষ্টম শতকের এক হানাদার মুসলিম সেনাপতির উদহারণ তুলে ধরে জঙ্গি মুসা। জঙ্গিনেতার দাবি, ওই শতকে সিন্ধ প্রদেশের ‘কাফের’ হিন্দু রাজাকে হত্যা করে শরিয়ত আইন লাগু করেছিল মহম্মদ বিন কাসেম। ঠিক একইভাবে হিন্দুদের হত্যা করে ‘হিন্দুস্থান’কে মুক্ত করা পর্যন্ত না থামার হুঁশিয়ারি দেয় সে।

[শত্রুর উপর নজরদারি চালাতে শক্তিশালী ‘ড্রোন বাহিনী’ তৈরি করেছে চিন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement