Advertisement
Advertisement

Breaking News

অখিলেশ

বিজেপিকে হারাতেই চান না রাহুল, বিস্ফোরক দাবি অখিলেশের

জোট ভুলে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে মেতেছে বিরোধী শিবির!

Akhilesh Yadav claims Congress doesn't want to beat BJP
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 27, 2019 8:53 am
  • Updated:April 27, 2019 8:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রে বিজেপিকে আটকাতে নয়, বরং উত্তরপ্রদেশের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তৈরিতেই কংগ্রেস বেশি আগ্রহী বলে দাবি সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবের। শুক্রবার অখিলেশের মন্তব্য, “কেন্দ্রে বিজেপিকে সরকার গঠন থেকে আটকানো কংগ্রেসের কৌশল নয়, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেছেন, জাতীয় স্বার্থেই সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি একে অপরের জন্য আসন ছেড়েছে।

[আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ফের তারকা যোগ, বিজেপিতে নাম লেখালেন দালের মেহেন্দি]

সংবাদ সংস্থার সঙ্গে এদিন এক সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট। আমরা সাম্প্রদায়িক দলকে আটকাতে জোট করেছি। জাতীয় স্বার্থে আমরা সপা এবং বসপা আসন ত্যাগ করেছি। কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কেন্দ্রে সরকার গঠনে আটকানো কংগ্রেসের কৌশল নয়। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তৈরি করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।” উল্লেখ্য, ২০২২ সালে রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল সমাজবাদী পার্টি। সেই জোটের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন অখিলেশ। এবার লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সপা-বসপা জোট হওয়ার জল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত মায়াবতীর চাপে কংগ্রেসকে বাইরে রেখেই জোট হয়েছে। তারপর কংগ্রেস নিজেদের সেরা অস্ত্র প্রিয়াঙ্কাকে নামিয়ে দেয় উত্তরপ্রদেশের রুক্ষ জমিতে সোনার ফসল ফলাতে। ‘ইন্দিরার নাতনি’ আসরে নামার পর কংগ্রেস কর্মী তথা সমর্থকদের মধ্যে একটা উন্মাদনা যে সৃষ্টি হয়েছে তা সকলেই বুঝতে পারছেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে বিজেপির ক্ষতির থেকে বিরোধী ভোট ভাগাভাগিতে উপকারই বেশি হয়ে যেতে পারে। তারপর থেকেই মায়াবতী এবং অখিলেশ দু’জনেই কংগ্রেসকেও আক্রমণ শানাচ্ছেন। 

[আরও পড়ুন: ‘ঋণখেলাপকারীদের নাম প্রকাশ করুন’, আরবিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

আগের দিনই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, তাঁর দল কেন্দ্রে সরকার গড়বে এবং লোকসভা ভোটের পরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে রাজ্যকে আগের মতো শীর্ষে নিয়ে যেতে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন লক্ষ্য হবে। এদিন অখিলেশের মন্তব্য সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement