ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীর রাজ্যে ফের পুলিশি বাধার মুখে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। মঙ্গলবার লখনউ থেকে বিমানে প্রয়াগরাজ যাওয়ার পথে, বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সামান্য বাকবিতণ্ডাও হয় সপা সুপ্রিমোর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, রাজনীতির জন্যই তাঁকে প্রয়াগরাজ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং অশালীন আচরণ করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। পোস্ট ভাইরাল হতেই নিন্দায় সরব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অখিলেশ যাদবের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবগঠিত ছাত্র সংসদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেখানে সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংগঠনের তরফে প্রেসিডেন্ট পদের শপথ ছিল এদিন। লখনউ থেকে বিশেষ বিমানে প্রয়াগরাজে যাচ্ছিলেন অখিলেশ। কিন্তু মাঝপথে বাধা। টুইটারে মুলায়ম পুত্রের অভিযোগ, বিমানে ওঠার জন্য টারম্যাকে পৌঁছাতেই তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ান এক পুলিশ অফিসার। সাধারণ পোশাক পরা আরেকজন অখিলেশ এগোতে বাধা দেন। এরপর দু’পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়ান। শোনা যায়, অখিলেশ ওই সাধারণ পোশাক পরা ব্যক্তিকে বলছেন, ‘গায়ে হাত দেবেন না।’ বাধ্য হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান সপা সুপ্রিমো। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছাত্র সংগঠন শক্তিশালী। ছাত্র সংসদের ফলাফল দেখে সরকার চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাই আমাকে প্রয়াগরাজ যেতে বাধা দিচ্ছে। এটা একটা রিমোট কন্ট্রোল রাজনীতি চলছে, যার নিয়ন্ত্রণ আড়াই জনের হাতে।’ অখিলেশের এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, তাঁর নিশানায় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ । শুধু এটুকুই নয়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘যেখানে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, কয়েকঘণ্টা আগে সেই জায়গার সামনে হামলা চলেছে। একটা পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানটাই কেউ বানচাল করতে চেয়েছে। দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানে।’ ওদিকে, প্রয়াগরাজ পুলিশের পালটা দাবি, অখিলেশ যাদব এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই আশঙ্কায় তাঁরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটকেছেন। পুলিশের এই ভূমিকার বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান সপা সমর্থকরা। প্রয়াগরাজে তাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছেন বলে অভিযোগ।
টুইটারে অখিলে যাদবের একের পর এক পোস্ট দেখে নিন্দার ঝড় নানা মহলে। বিশেষত কেন্দ্র বিরোধী দলগুলি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। অখিলেশের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপা সুপ্রিমোকে ফোন করে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে নবান্নে এবং বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনিও বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘দেশে গণতন্ত্র কোথায়? কেউ নিশ্চিন্তে এদিক-ওদিক যেতে পারবে না। জিগনেশ মেবানিকেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। বিজেপির বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে।’ আগামী ১৩ এবং ১৪ তারিখ দিল্লিতে ফের একজোট হতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধরনা মঞ্চে যোগ দেওয়ার কথা কংগ্রেস, এসপি, এনসিপি, এনসি সহ একাধিক বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের। সেখানে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে অখিলেশকে প্রয়াগরাজে যেতে পুলিশের বাধা নতুন ইস্যু হিসেবে উঠে আসবে, বলাই বাহুল্য।
बिना किसी लिखित आदेश के मुझे एयरपोर्ट पर रोका गया। पूछने पर भी स्थिति साफ करने में अधिकारी विफल रहे। छात्र संघ कार्यक्रम में जाने से रोकना का एक मात्र मकसद युवाओं के बीच समाजवादी विचारों और आवाज को दबाना है। pic.twitter.com/151IwzPl1t
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) February 12, 2019
I’ve already spoken to @yadavakhilesh. We all condemn the arrogant attitude of the so-called #BJP ‘leaders’ who didn’t allow Akhilesh to address the students. Even @jigneshmevani80 was not allowed. Where is the democracy in our country? And they are giving lessons to everybody!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 12, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.