সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েকদিন পর ২৫ অক্টোবর প্রয়াগরাজে বৈঠকে বসার কথা অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (Akhil Bharatiya Akhara Parishad)। গত মাসে প্রয়াত পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরির (Narendra Giri) উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য। তার আগেই চাঞ্চল্যকর মোড়। দু’টি ভাগে ভেঙে গেল ভারতের সাধুসন্ন্যাসীদের শীর্ষ সংগঠনটি। আখড়া পরিষদের অংশ ১৩টি আখড়ার মধ্যে সাতটি আলাদাভাবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য পদাধিকারীদের নিজেরাই নির্বাচিত করেছে।
বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে নির্মল আখড়ার পদাধিকারী তথা অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সহ সভাপতি দেবেন্দ্র সিং শাস্ত্রীর পৌরোহিত্যে বৈঠক হয়। সেখানেই মহানির্বাণী আখড়ার মোহন্ত রবীন্দ্র পুরীর নাম সভাপতি ও নির্মোহী আখড়ার মোহন্ত রাজেন্দ্র দাসের নাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। যার অর্থ, নির্মোহী, নির্বাণী, দিগম্বর, মহানির্বাণী, অটল, বড়া উদাসীন এবং নির্মল– এই সাত আখড়া নিয়ে একটি অংশ তৈরি হল। অন্য অংশে রয়েছে ছ’টি আখড়া–জুনা, নিরঞ্জনী, আবাহন, আনন্দ, অগ্নি এবং নয়া উদাসীন।
প্রথম অংশের অংশ দিগম্বর আখড়ার বাবা হঠযোগী জানান, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কম। বিভিন্ন পদে নির্বাচনে তাঁদের অবহেলা করা হয়। তাই নিজেদের মতো করে পদাধিকারী বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, সাত আখড়ার প্রধানরাও চেয়েছিলেন যে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহন্ত হরি গিরিকে বদল করা হোক।
এ বিষয়ে মোহন্ত হরি গিরি বলেন, পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য এবং সংগঠনের সংবিধান অনুযায়ী বৈধ নয়। উল্লেখ্য, আখড়া পরিষদের প্রথা অনুযায়ী, কোনও সভাপতির মৃত্যু হলে সেই আখড়া থেকেই কাউকে পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়া হয়। প্রয়াত নরেন্দ্র গিরি ছিলেন নিরঞ্জনী আখড়ার প্রধান। প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুর দিকে বৈরাগী বৈষ্ণব ঐতিহ্য মেনে চলা তিনটি আখড়া– নির্মোহী, নির্বাণী এবং দিগম্বর, হরিদ্বার মহা কুম্ভের সময় নিজেদেরকে আখড়া পরিষদ থেকে আলাদা করে ফেলেছিল। এক মাসের মধ্যে আখড়া পরিষদের নতুন নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছিল তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.