মাসুদ আহমেদ: ২ অক্টোবর সন্ধেয় উত্তপ্ত হয়েছিল কাশ্মীর (Kashmir)। একই দিনে তিনটি আলাদা আলাদা এলাকায় হামলা চালিয়েছিল জেহাদিরা (Terrorist)। জঙ্গি হামলায় এক আম কাশ্মীরির মৃত্যু হয়ে। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হন আরও একজন। তার মধ্যেই কাশ্মীরে উদ্ধার হল পাক ড্রোন থেকে ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র। রবিবার সকালে পুলিশের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ একটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল ও তিনটি ম্যাগাজিন পেয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৩০ রাউন্ড গুলি ও একটি টেলিস্কোপ। শনিবার রাতে ওই অস্ত্রশস্ত্র ফেলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। জম্মুর সৌজানা গ্রামের এক বাসিন্দা সেগুলি দেখতে পেয়েই পুলিশকে খবর দেন। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সব উদ্ধার করে। পাক ড্রোন থেকে সেগুলি ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, ওই অঞ্চলে অস্ত্রশস্ত্র ফেলার অর্থ সেখানে নিশ্চয়ই কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে। সম্ভাব্য জঙ্গির উদ্দেশে তল্লাশিও চালিয়েছে পুলিশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে এখনও তল্লাশি চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য এলাকার মতো এই চত্বরেও নিয়মিত নজরদারি চলছে। তা সত্ত্বেও কেন ওই পাক ড্রোনটি শনাক্ত করা যায়নি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জম্মু ও কাশ্মীর। এর পরই ভূস্বর্গজুড়ে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
শনিবার বিকেল পৌনে ছ’টায় প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে। কাড়া নগর (Kara Nagar) এলাকায় এক কাশ্মীরিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জেহাদিরা। গুলি লাগে মাজিদ আহমেদ গজরি নামে এক ব্যক্তির মাথায়। সতর্কতার মাঝেই দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি ঘটে বাতমালো এলাকায়। ফের অতর্কিতে হামলা চালায় কয়েকজন জেহাদি। এর মাঝেই পৌনে সাতটা নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের কেপি রোডের আধা সামরিক বাহিনীর ছাউনি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গ্রেনেড ছাউনির কাছে বিস্ফোরণ হয়। যদিও কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি। তবে একইদিনে কাশ্মীরের তিন এলাকায় নাশকতামূলক কার্যকলাপের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। চলছে টহলদারি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.