ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুদিন আগেই কাকা শরদ পওয়ার ও দলকে বোকা বানিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। সোমবার তারই যেন পুরস্কার পেলেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার! ২০১৪ সালে যে দুর্নীতিতে নাম থাকার জন্য উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই ৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাতে ক্লিনচিট দেওয়া হল তাঁকে। একসময় যে কারণে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। গত শনিবার ফের সেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতেই যেন সম্পূর্ণ হল বৃত্ত! যদিও অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুর্নীতিদমন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, ওই সময়ে দায়ের হওয়া সেচ সংক্রান্ত তিন হাজার অভিযোগের মাত্র নটিতে নাম জড়িয়েছিল অজিত পওয়ারের। কিন্তু, সেগুলিতেও উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে বিরোধীরা বলছে, এটা বিজেপি নামক ওয়াশিং মেশিনের কামাল। আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই হওয়ার ছিল।
ফড়ণবিস সরকার গঠিত হওয়ার আগে মহারাষ্টে কংগ্রেস ও এনসিপির জোট সরকার ছিল। ২০১০ সালে ওই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেব শপথ নেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত। এর পাশাপাশি রাজ্যের সেচমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাতেন তিনি। কংগ্রেস ও এনসিপির শাসনকালে মন্ত্রী থাকার সময় তাঁর দপ্তরের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি করার অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন প্রকল্পে তিনি বেআইনিভাবে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এমনকী বিদর্ভের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতেও তাঁর নাম জড়ায়। এরপরই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত। জানিয়ে দেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত না হলে কোনওদিন আর মন্ত্রী হবেন না।
২০১৪ সালে মুখমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। খুব তাড়াতাড়ি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে দেখা যাবে বলেও হুমকি দেন। যদিও গত পাঁচ বছরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অজিত পওয়ারের। বেশ বহাল তবিয়তেই এই কয়েকটা বছর কাটিয়ে দেন। আর এবার মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে মহাভারত শুরু হতেই পুরনো দুর্নীতির অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট পেলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.