Advertisement
Advertisement
মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা

মন্ত্রিত্ব নিয়ে ঝামেলার জের! উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন না অজিত পওয়ার

অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শরদ পওয়ারের ভাইপোকে।

Ajit Pawar could get finance, Aaditya Thackeray environment and tourism
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 2, 2020 7:30 pm
  • Updated:January 2, 2020 7:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার গঠন হলেও এখনও টানাপোড়েন শেষ হয়নি মহারাষ্ট্রে। ৩৫ জন মন্ত্রী পদে শপথ নিলেও এখনও দপ্তর পাননি তাঁরা। পাশাপাশি এই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে আগে থেকে ঠিক থাকলেও অনেকের দপ্তর বদলে যাচ্ছে।  আর এই তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছে NCP নেতা অজিত পওয়ারের নাম। উপমুখ্যমন্ত্রীর জায়গায় তাঁকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই নিয়েই নাকি বিতর্ক দানা বেঁধেছে তিন দলের মহারাষ্ট্র ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্টের অন্দরমহলে।

সূ্ত্রের খবর, এই সপ্তাহেই অজিত পওয়ার ও উদ্ধবপুত্র আদিত্য ঠাকরে-সহ মোট ৩৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হবে। তার মধ্যে অর্থমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের। আদিত্য ঠাকরে শপথ নেবেন পরিবেশ ও পর্যটন দপ্তরের। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বানকে দেওয়া হতে পারে পূর্তদপ্তর। এছাড়া জয়ন্ত পাটিল সেচদপ্তর, জিতেন্দ্র আওয়াদ আবাসন দপ্তর। বালাসাহেব থোরট রাজস্ব দপ্তর আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সিএএ’কে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই জানে বিশ্ব’, সমালোচনার জবাব বিদেশ মন্ত্রকের]

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবারই সম্প্রসারিত হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের মন্ত্রিসভা। তিন দলের মোট ৩৫ জন মন্ত্রী পদে শপথ নিলেও তাঁদের মধ্যে দপ্তর বন্টন করা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রচুর জল্পনা হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে অজিত পওয়ারের অর্থমন্ত্রী হওয়ার খবর। প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অজিতের হাতে অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করছেন ক্ষমতাসীন জোটের অনেক বিধায়ক। তবু সরকার গঠনে শরদ পওয়ারের ভূমিকার কথা মাথায় রেখে উদ্ধব ঠাকরে অজিতের বিষয়ে না করতে পারছেন না বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরও একটি খবর ছড়িয়েছে যে অজিত পওয়ার অর্থমন্ত্রী হলে এনসিপির জয়ন্ত পাটিল উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ও শিব সেনার অনেক বিধায়ক ক্ষুদ্ধ হবেন। কারণ, এর ফলে মহারাষ্ট্র সরকারে এনসিপির অনেকটাই প্রভাব তৈরি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। যা জোট রাজনীতির পরিপন্থী বলেই দাবি তাঁদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement