Advertisement
Advertisement

Breaking News

মানুষের বিশ্বাস খুইয়েছেন কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে ‘মহাজোট’

মহাজোট হলে স্থান পাবেন তো অরবিন্দ কেজরিওয়াল? উঠছে প্রশ্ন৷

Ajay Maken Criticise Aam Admi Party
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 13, 2018 8:47 pm
  • Updated:June 13, 2018 8:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই মুখে মহাজোটের কথা বলুন না কেন, মহাজোটের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন এখনই রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে৷ সেই জল্পনা আরও উসকে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেন৷ আসন্ন নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন তিনি৷ পাশাপাশি জানালেন, দিল্লি দরবারে তাঁদের রাজনৈতিক জমি খুইয়েছে আপ৷ এখানেই শেষ নয়, তৈরি হওয়া আপ-কংগ্রেস জোট জল্পনাকেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷ সাবধান করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে৷

[মহাজোট তুলে ধরতে গিয়েও ধাক্কা, রাহুলের ডাকা ইফতারে নেই দুঁদে নেতারা]

Advertisement

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা৷ যার স্পষ্ট ছবি উঠে এসেছে কর্ণাটক নির্বাচনে৷ বিজেপি-কে রুখতে দ্বন্দ্ব ভুলে কাছাকাছি এসেছে কংগ্রেস-জেডিএস৷ সুফলও পেয়েছে তারা, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপিকে পিছনে ফেলে সরকার গড়েছে এই জোট৷ সদ্য সমাপ্ত উত্তরপ্রদেশের কয়েকটা লোকসভা ও বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনেও মোদি-শাহ জুটির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল বুয়া-ভাতিজা অর্থাৎ অখিলেশ-মায়াবতী জুটি৷ সেখানেও এসেছে লাভ৷ যা আরও বেশি করে উজ্জীবিত করেছে বিজেপি বিরোধী মহাজোটকে৷ এতদিন এই মহাজোটের অন্যতম অংশ ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি৷ তবে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷ বুধবার রাজধানীর বুকে তাজ প্যালেসে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ ইফতারের আবহে সেই বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়েছিল বিরোধী শিবিরের সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ কিন্তু আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম৷ এরপরেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতা অজয় মাকেনের বক্তব্য উল্লেথযোগ্য বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ কারণ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে অন্যতম প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টি৷ ফলে এখন থেকেই কেজরিওয়ালের দলের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ পাশাপাশি, একথা অনেকেই মেনে নিচ্ছেন, সত্যিই কেজরির বিরুদ্ধে দিল্লিতে জনমত তৈরি হয়েছে৷ ফলে তাঁর সঙ্গে জোট করে আসন্ন নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেস কতটা সুবিধা পাবে তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷

[‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় ইমামকে মারধর, তদন্তে পুলিশ]

পাশাপাশি, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজলের বাসভবনে ধরনা কর্মসূচি পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী অবরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনিশ সিসোডিয়া-সহ মন্ত্রিসভার দুই সদস্য৷ দিল্লির সমস্ত আইএএস অফিসাররা ধর্মঘট শুরু করার যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ শুরু করেছেন কেজরিওয়াল ও তাঁর সঙ্গীরা৷ দিল্লির মানুষের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের এই কর্মসূচি বলে জানান আপ প্রধান৷ টুইটারে তিনি লেখেন, দিল্লির মানুষের জন্য তাঁরা যে কাজ করতে চান তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ পাশাপাশি আপ-এর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকেও৷ সেখানে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, যদি আইএএস অফিসাররা ধর্মঘট প্রত্যাহার না করেন, তাহলে দিল্লি সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement