সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার আঁচ পেয়েও অনেক সময় বিমানযাত্রীদের রক্ষা করতে পারেন না পাইলটরা। মাঝ আকাশে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হোক, কিংবা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, এমন অনেক পরিস্থিতিতেই বিমানের জরুরি অবতরণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে উপায় কোথায়? কারণ অবতরণের জন্য ফিরতে হয় নিকটবর্তী বিমানবন্দরেই, তাও অবতরণ হবে কিনা সেটা নির্ভর করে এয়ার ট্রাফিকের উপর। এই দীর্ঘ ঢিলেমির জেরে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। প্রাণ যায় প্রচুর মানুষের।এবার এই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। বিমানবন্দরের পাশাপাশি হাইওয়েগুলিতেও এবার বিমানের জরুরি অবতরণের ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দপ্তর। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ১১ টি হাইওয়েতে এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করা হবে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মনসুক মাণ্ডব্য জানান শুধু দুর্ঘটনা নয়, কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ত্রাণ পৌঁছে দিতেও সুবিধা হবে এই এমারজেন্সি এয়ারস্ট্রিপগুলির সৌজন্যে। তিনি বলেন, ” ভূমিকম্প, বন্যা, সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আকাশপথই সেরা বিকল্প। আমরা আপাতত গোটা দেশে ১১টি এমারজেন্সি ল্যান্ডিং এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই ধরনের এয়ারস্ট্রিপ প্রথম তৈরি হচ্ছে গুজরাটের দ্বারকার দেবভূমিতে ১৫১ নং হাইওয়ের উপরে। পুরো প্রকল্পটির খরচ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৮৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গে, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং জম্মু কাশ্মীরে এই ধরনের এয়ারস্ট্রিপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মোট ১৩টি হাই ওয়েকে বেছে নেওয়া হয়েছে, রেইকি করার পর ঠিক হবে চূড়ান্ত ভেন্যু। এয়ারস্ট্রিপগুলি ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার লম্বা হবে। এবং ৬০ মিটার চওড়া কংক্রিটের রাস্তা থাকবে এই দীর্ঘ রাস্তায়। এই রাস্তাগুলিতে একসঙ্গে ৪ টি বিমান পার্ক করে রাখা যাবে। গোটা এলাকায় কোনওরকম বৈদ্যুতিন খুঁটি বা গাছপালা রাস্তার পাশে রাখা যাবে না, বসানো হবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারও। এর আগে গতবছরই যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে সফলভাবে অবতরণ করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।
ছবি-প্রতীকি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.