ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশেই সিলমোহর। উড়ানে মাঝের আসন ফাঁকা রাখতেই হবে, সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল অসামরিক বিমানের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA)। সেই নিয়ম মেনেই বিমানের টিকিট বন্টন করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে মাঝের আসনের যাত্রীকে বিশেষ সুরক্ষা সরঞ্জাম দিতে হবে। পাশাপাশি, বিমানের অন্যান্য যাত্রীদেরও মাস্ক-সহ একাধিক সুরক্ষা সরঞ্জাম দিতে হবে। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বিমানে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই বিমানে সামাজিক দূরত্বের নীতি মানা হচ্ছে না। মাঝের আসনেও যাত্রীদের বসানো হচ্ছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল।
লকডাউন চলায় বন্দে ভারত মিশনে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের ভারতে ফেরাচ্ছে কেন্দ্র। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এই মিশনে চলাচল করছে। কিন্তু নিয়ম ভেঙে বিমানের মাঝের আসনেও যাত্রী বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে শুনানি হয়। সেই শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, “এটা সাধারণ বোধের ব্যাপার যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একান্তই গুরুত্বপূর্ণ।” এদিন থেকেই শুরু হয়েছে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা। সেখানে কিন্তু মাঝের আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। বলা হয়, ৬ জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের মাঝের আসনে কোনও যাত্রীকে বসানো যাবে না।
এরপরই সোমবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল ডিজিসিএ। জানানো হয়েছে, উড়ানে মাঝের আসন ফাঁকা রাখতেই হবে। সেই নিয়ম মাথায় রেখেই টিকিট বন্টন করতে হবে। তবে যাত্রীদের চাপ থাকলে সেক্ষেত্রে মাঝের আসনে যাত্রী বসানো যাবে। সেক্ষেত্রে সেই যাত্রীকে বিশেষ পোশাক দিতে হবে। যাতে যাত্রীর মাথা থেকে পা অবধি সেই পোশাকে মুড়ে রাখা যায়। এছাড়াও অন্য যাত্রীদেরও ত্রিস্তরীয় মাস্ক, ফেসশিল্ড ও স্যানিটাইজার দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে বিমান সংস্থাগুলির দাবি, মাঝের আসনে যাত্রী না বসালে তাঁদের অনেকটাই আর্থিক ক্ষতি হবে। তবে তাঁদের সে কথায় চিঁড়ে ভিজল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.