সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ রোধ করতে গিয়ে করোনার থাবায় প্রাণ হারালেন এইমসের সাফাই বিভাগের পর্যবেক্ষক (Sanitation Supervisor)। ৫৮ বছরের এই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পর্যবেক্ষকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন এইমসের কর্মকর্তারা।
সংক্রমণ রোধে প্রথম সারিতে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন এইমসের সাফাই বিভাগের পর্যবেক্ষক। হাসপাতালের বাকি কর্মীদের থেকে তাঁর কাজের ধরণ একটু আলাদা। হাসপাতাল চত্বরের স্বচ্ছতা বজায় রেখে করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মারণ ভাইরাসের কোপে প্রাণ গেল তাঁর। রবিবার প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন এইমসের (AIIMS) সাফাই বিভাগের এই সুপারভাইজর। তিনি এইমসের স্থায়ী কর্মী বলে জানা যায়। শেষ তাঁকে প্রিমিয়ার মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের (premier medical institute’s) বহির্বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। সেখান থেকেই তিনি সংক্রমিত হন বলে ধারনা তাঁর সহকর্মীদের। এদিন এইমসের চিকিৎসা সমিতির এক সদস্য ডাঃ শ্রীনিবাসন টুইটে শোকপ্রকাশ করেনও বাকি করোনা যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা স্বীকার করে শ্রদ্ধাজ্ঞপন করেন। তিনি বলেন, “এইমস তার গর্বিত সৈনিককে হারাল। অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস। কাউকে রেয়াত করছে না।”
এইমসের জেনারেল সেক্রেটারি কুলদীপ সিং-এর কথায়, “১৬ মে থেকে পর্যবেক্ষকের শরীরে মৃদু উপসর্গের লক্ষ্ণণ দেখা দেয়। তখন থেকেই সামান্য শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন তিনি। প্রথমে হাসপাতালেই তাঁর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে পরীক্ষায় তাঁর সঠিক লক্ষ্ণণ প্রকাশ না পাওয়ায় বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালের তরফ থেকে রক্তপরীক্ষা করে ভাইরাস রোধের প্রতিটি বিষয় তাঁকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।” মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, হঠাৎ করেই বৃদ্ধের শারীরিক অবনতি দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে হাসপাতালের আর কোনও সাফাই কর্মীকে যাতে বেঘোরে প্রাণ হারাতে না হয় তার জন্য আগামিকাল উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয় এইমস কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.