Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gujarat

কংগ্রেসের দখলে আহমেদাবাদ! সবরমতীর তীরে শুরু AICC-র কর্মসমিতির বৈঠক

মোদি-শাহদের চ্যালেঞ্জ দিতে গান্ধী-প্যাটেলদের ভূমিকে বেছে নিল কংগ্রেস।

AICC meet in Gujarat to focus on party’s revival in BJP bastion

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 8, 2025 9:59 am
  • Updated:April 8, 2025 9:59 am  

সোমনাথ রায়, আহমেদাবাদ: মোদি-শাহদের চ্যালেঞ্জ দিতে গান্ধী-প্যাটেলদের ভূমিকে বেছে নিল কংগ্রেস। মঙ্গলবার থেকে গুজরাটের আহমেদাবাদে শুরু হল অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি বা এআইসিসির কর্মসমিতির বৈঠক।

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রের পাশাপাশি একের পর এক রাজ্যের মসনদ হাতছাড়া হয়েছে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের। বাংলার মত রাজ্যে বিধায়ক সংখ্যা নেমেছে শূন্যে। চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছর বাংলা, অসম, কেরল, তামিলনাড়ুতে বাজবে নির্বাচনী দামামা। গত লোকসভা নির্বাচনে ৯৯ আসন পেয়ে কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে ধুঁকতে থাকা কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে ৮ ও ৯ এপ্রিল আহমেদাবাদে বসছে কংগ্রেসের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠক ও অধিবেশন। কোন পথে থামানো যায় বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া। কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সংগঠন। আসন্ন নির্বাচনগুলিতে ‘ইন্ডিয়া’ শরিকদের সঙ্গে কোন ফর্মুলায় হবে জোট বা আসন সমঝোতা। খোঁজা হবে এই ধরনের নানা উত্তর। তবে তার আগেই উঠতে শুরু করেছে গুরুত্বপূর্ণ এক প্রশ্ন। হঠাৎ কেন গুজরাতকে বেছে নিল কংগ্রেস?

Advertisement

শেষবার গুজরাতের মসনদে কোনও কংগ্রেসি নেতার বসার ৩০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে ২৬টির মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র একটি আসন। বিজেপি পেয়েছিল বাকি সব। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টির মধ্যে হাত বেছে নিয়েছিলেন ১৭ কেন্দ্রের ভোটাররা। সেক্ষেত্রে কেন গুজরাত?

কংগ্রেসের তরফে সরকারিভাবে যা বলা হচ্ছে, তা হল, মহাত্মা গান্ধীর শততম প্রয়াণ বার্ষিকী ও সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্ম সার্ধশর্তবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতেই গুজরাতকে বেছে নেওয়া। যদিও কংগ্রেসের অন্দরমহলের খবর অন্য। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হলে তাদের চোখে চোখ রেখে চলা ছাড়া গতি নেই। এই কারণেই সবরমতীর তীরের রাজ্যকে বেছে নেওয়া। ‘ন্যায়পীঠ : সংকল্প, সমর্পণ ও সংঘর্ষ’ – এই থিমকে মন্ত্রগুপ্তি করে দীর্ঘ ৬৪ বছর পর গুজরাতের মাটিতে এআইসিসি-র অধিবেশনের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে প্রথমবার ১৯০২ সালের ২৩ থেকে ২৬ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে বসেছিল কংগ্রেসের আধিবেশন। পাঁচ বছর পর আরেক বঙ্গসন্তান রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে সুরাটে হয় কংগ্রেসের অধিবেশন। এরপর ১৯২১ সালে আহমেদাবাদের পর ১৯৩৮ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে বিখ্যাত সেই হরিপুরা কংগ্রেস। শেষবার ১৯৬১ সালে ভাবনগরের পর ৬৪ বছর বাদে ফের গুজরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কংগ্রেসের অধিবেশন।

অধিবেশনকে কেন্দ্র করে গোটা আহমেদাবাদে সাজো সাজো রব। দেখে বোঝার উপায় নেই ১৯৯৫ সালের ২১ অক্টোবর ছবিদাস মেহতা ছিলেন গুজরাতের শেষ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতির বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকেই রাস্তার দু’পাশে যেদিকেই চোখ যায় অধিবেশনের পোস্টার, হোর্ডিং। মাথায় টুপি, হাতে পতাকা, গলায় উত্তরীয় নিয়ে শহরের এদিক ওদিক ব্যস্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। এর মাঝেই সামনে পিছনে কনভয় নিয়ে গেল গুজরাত টাইটান্সের টিম বাস। কালো কাচের আড়াল দিয়ে উঁকি মারতে দেখা গেল শুভমান গিল, মহম্মদ সিরাজদের। হয়তো তাঁরাও হঠাৎ করে রাহুল, খাড়গেদের এত ছবি দেখে অবাক। তবে অবাক হওয়ার সেই ছবি দেশবাসীকে দেখানোর শপথ নিচ্ছে কংগ্রেস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement