সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষকই যখন ভক্ষক! ধর্ষণে অভিযুক্তকে বাঁচাতে ৩৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। নিজের জালে জড়িয়ে ধরা পড়েই এখন গ্রেপ্তারির মুখে সেই মহিলা পুলিশ আধিকারিক। জোড়া ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে বাঁচাতে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে আহমদাবাদের (Ahmedabad) এক থানার মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, গ্যাপ (GAP) কর্প সায়েন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেনাল শাহের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তাঁরই সংস্থার দুই মহিলা কর্মী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে, ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী যিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সিকিউরিটি অফিসার, তাঁকেও কেনাল শাহ হুমকি দিয়েছিলেন বলে, তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ওই দু’টি ধর্ষণের অভিযোগের মধ্যেই একটির তদন্তের দায়িত্বভার গিয়ে বর্তায় সাব-ইনপ্সেক্টর তথা থানার ইনচার্জ শ্বেতা জাদেজার উপর। সেই সুবাদেই অভিযুক্তের কাছে টাকা চেয়ে বসলেন তিনি।
শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধর্ষণ ও হুমকির দায়ে অভিযুক্ত কেনালকে তিনি গ্রেপ্তার করার বিনিময়ে ৩৩ লক্ষ টাকা ঘুষ চান। শুধু তাই নয়, দাবি মতো টাকা না দিতে পারলে জোড়া ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে সত্ত্বর গ্রেপ্তারের হুমকিও দেন। শ্বেতার বিরুদ্ধে ক্রাইম ব্রাঞ্চে দাখিল করা অভিযোগনামায় এমনটাই উল্অলেখ রয়েছে।
মাত্র ৪ বছর আগে পুলিশে যোগ দেন শ্বেতা জাদেজা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কেনাল শাহের দাদা ভবেশ শাহকে তিনি থানায় ডেকে পাঠিয়েই ঘুষের প্রস্তাব রাখেন। কথামতো কেনাল শাহর দাদা ওই টাকা শ্বেতার বলে দেওয়া ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও পাঠিয়ে দেন। এরপরই দ্বিতীয় মামলার প্রসঙ্গ তুলে টাকা চাওয়া হয়। এবং তার ভিত্তিতেই অভিযুক্তের দাদা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এরপরই ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রমাণ জোগাড় করে। সূত্রের খবর, উপর মহল থেকে নির্দেশ এলেই যে কোনও সময়ে গ্রেপ্তার করা হতে পারে শ্বেতা জাদেজাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.