ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্যগ্রহণের দিনেই ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত। অসম-সহ মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়ে অনুভূত হল জোরালো কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র মিজোরামের আইজল বলে জানা যায়।
থেমেও থামছে না প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এক বা দুই নয়, সূর্যগ্রহণের দিন একসঙ্গে কেঁপে উঠল ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের ৪টি রাজ্য। জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র কম্পনের কথা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেল ৪.১৬-য় কম্পন অনুভূত হয়। আইজলের (Aizawl) থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বের ভূমি থেকে ৩৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উপকেন্দ্র। তবে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগে, ১৮ জুন মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। সে বারও কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫। মিজোরামের চম্পাইতে ভূমি থেকে ৮০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের উপকেন্দ্র। শিলং-সহ উত্তর-পূর্বের প্রায় সব শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বৃহস্পতিবার সারাদিনে বার তিনেক কাঁপে ভারতের আদ্যোপান্ত। আন্দামান-নিকোবর দীপপুঞ্জ, হরিয়ানার পর দিনশেষে মিজোরাম। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
১৪ জুন গুজরাতের কচ্ছে ৫.৩ তীব্রতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর ৭২ ঘণ্টায় ১৮টি আফটারশক ও দুটি মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সেখানকার বিস্তীর্ণ এলাকা। এ ছাড়াও পরপর ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে কাশ্মীরে। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে ঘনঘন মৃদু থেকে মাঝারি কম্পন অনুভূত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই। ভারতের উত্তর, উত্তর-পূর্ব থেকে পশ্চিম কোথাও বাদ যায়ি সেই কম্পনের হাত থেকে।
আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের কারণেই কয়েকটি দেশ ‘রেড জোন’ অর্থাত্, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যেই পড়ে। ফলে সেই দেশগুলিতে কম্পন অনুভূত হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা জানান, গত ২ মাসে বিশ্বের রেড এবং অরেঞ্জ অঞ্চলগুলিতে আলোড়ন চলছে। তার জেরেই ক্রমাগত ভূমিকম্প হয়ে চলেছে। তবে এই মৃদু কম্পনের মধ্যেই বড় কোনও বিপদের আঁচ লুকিয়ে নেই তো? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে সকলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.