Advertisement
Advertisement
Parliament deadlock

সর্বদল বৈঠকে গলল বরফ, বিবাদ ভুলে সংসদে সংবিধান নিয়ে আলোচনায় রাজি সব পক্ষ!

সর্বদল বৈঠক শেষে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, এভাবে সংসদ অচল করে রাখা কাম্য নয়।

After week Of Parliament deadlock, consensus over constitution debate
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 2, 2024 8:18 pm
  • Updated:December 2, 2024 8:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জট কাটতে চলেছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে সংসদ। তেমনটাই ইঙ্গিত সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠকে। সূত্রের খবর, সরকার এবং বিরোধী সব শিবিরই সংসদে সংবিধান সংক্রান্ত আলোচনায় রাজি হয়েছে।

বস্তুত শীতকালীন অধিবেশনে এ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছু হয়নি। কংগ্রেস রোজই সংসদে আদানি ইস্যু তুলে হট্টগোল করছে। সঙ্গ দিচ্ছে অন্য বিরোধীরাও। সমাজবাদী পার্টি যেমন সম্ভল ইস্যুকে হাতিয়ার করছে। হাত শিবিরের বক্তব্য, অন্য সব কাজ ফেলে আদানি ইস্যুতে আলোচনা করতে হবে। সোমবারও অধিবেশন শুরুর পরই কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। ফলে দুই কক্ষেই অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়। এদিকে তৃণমূল বলছে, আদানি ইস্যুতে আলোচনা তারাও চায়, কিন্তু সেটা সংসদ সচল রেখে।

Advertisement

দিন কয়েক আগে তৃণমূলের তরফেই অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের শাসকদলের সাংসদরা লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন, যাতে যেভাবেই হোক সংসদ সচল করা যায়। তাছাড়া কংগ্রেসের তরফেও সুর নরম করার ইঙ্গিত মিলছিল। এই পরিস্থিতিতে সোমবার অচলাবস্থা কাটাতে সর্বদল বৈঠক ডাকেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে আর বিক্ষোভ নয়, আগামী সপ্তাহে সংবিধানের উপর আলোচনায় অংশ নেবে সব দল। লোকসভায় ওই আলোচনা হবে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর আর রাজ্যসভায় আলোচনা হবে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর। তার আগে অচলাবস্থা কাটবে কিনা সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

এদিন বৈঠক শেষে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, এভাবে সংসদ অচল করে রাখা কাম্য নয়। সূত্রের খবর, সংবিধান নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের সম্ভল, বাংলাদেশ, মণিপুরের মতো ইস্যু উঠতে পারে। জবাবি ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তবে আদানি ইস্যু তোলার অনুমতি হয়তো পাবেন না বিরোধীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement