ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন তালাকের পর এবার নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহকে ‘অসাংবিধানিক’ ছাপ দিতে চলেছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছে। সূত্রের খবর, আবেদনকারীকে সমর্থন জানাতে পারে কেন্দ্র।
মুসলিম বিবাহের একটি বিতর্কিত পদ্ধতি হল নিকাহ হালালা। এই পদ্ধতি অনুযায়ী একজন মুসলিম মহিলা তালাক পাওয়া পর সেই স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে বা নিকাহ করা যায় না। এক্ষেত্রে তাকে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে নিকাহ করতে হয়। তারপর সেই দ্বিতীয় পুরুষের থেকে তালাক পেলে তবেই সেই মহিলা প্রথম স্বামীকে পুনরায় বিয়ে করতে পারবে। দ্বিতীয় স্বামী মারা গেলে বিধবা হওয়ার পরও আগের স্বামীকে বিয়ে করতে পারে মুসলিম মহিলারা। কিন্তু প্রথম স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার আগে প্রত্যেক মুসলিম মহিলাকে কোনও এক দ্বিতীয় পুরুষকে বিয়ে করতেই হয়। এরই নাম নিকাহ হালালা।
[ দেশদ্রোহিতার অভিযোগ কংগ্রেসের দুই নেতার বিরুদ্ধে, দায়ের হল মামলা ]
এই পদ্ধতিটি নিয়ে সমাজকর্মীরা বারবার প্রতিবাদ করেছেন। তাঁদের মতে পদ্ধতিটি নারীবিরোধী। উন্নয়নশীল সমাজব্যবস্থায় এর ফলে মহিলাদের পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার পর এই ইস্যুটি নিয়ে কেন্দ্র ও আইনমন্ত্রকের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মতামত জানানোর নির্দেশও দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের (শরিয়ত) বহুবিবাহ অনুশীলন এবং নিকাহ হালালাকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে ঘোষণা করারও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর এই দু’টি বিষয় নিয়ে পিটিশনকে সমর্থন করে কেন্দ্র তার অবস্থান তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
[ সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের আমানত বৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে কেন্দ্র, তোপ মমতা-রাহুলের ]
জানা গিয়েছে, এর জন্য ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন (বিএমএমএ) নামেও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কেন্দ্র। তিন তালাকের বিরুদ্ধে এই সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিল। এছাড়া যারা নিকাহ হালালা ও বহুবিবাহের অবসান চায়, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বিএমএমএ-র সমাজকর্মী জাকিয়া সোমান বলেছেন, ‘আমরা চাই নিকাহ হালালাকে অপরাধ হিসেবে ও বহুবিবাহকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হোক। আমরা বিশ্বাস করি কোরান বহুবিবাহ অনুমোদন করে না। আমরা হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীদের মতো আইনগত সুরক্ষা চাই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.