সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হবু স্ত্রী কি ভার্জিন? বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর এই সংশয়েই খুঁতখুত করছিলেন বিজ্ঞানী পাত্র৷ শেষমেশ ভার্জিনিটি টেস্টের জন্য রাজিও করিয়েছিলেন পাত্রীকে৷ মনে মনে ক্ষুব্ধ হলেও রাজি হয়েছিলেন পাত্রীও৷ কিন্তু পরীক্ষায় উতরোলেও সন্দেহ যায়নি৷ আর তাই বিয়ের পরও চলত অত্যাচার৷ স্বামীর সন্দেহ থেকে নিষ্কৃতী পেতে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন বেঙ্গালুরুর যুবতী৷
একবিংশ শতাব্দীর সমাজে দাঁড়িয়েও কোনও মহিলাকে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়! অশিক্ষার অন্ধকার অনেক সময়ই এর জন্য দায়ী৷ তবে সবথেকে বেশি দায়ী বোধহয় মনের অন্ধকার৷ সে কথাই যেন প্রমাণিত হল বেঙ্গালুরুর ঘটনায়৷
ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে বিয়ে ঠিক হয় মেঘা নামের ওই যুবতীর৷ পাত্র পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার৷ সে সময় বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট করছিলেন তিনি৷ শিক্ষার আলো পেলেও এক্ষেত্রে অন্ধকার কাটেনি৷ হবু স্ত্রীর সম্বন্ধে মনে সন্দেহ যায়নি হবু স্বামীর৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে মেঘার ছবি দেখেই সন্দেহ জাগে তাঁর মনে৷ আর তাই বাগদানের পর মেঘার সতীত্ব পরীক্ষা করে দেখতে চান৷ এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বোন৷
পরীক্ষার কথা শুনে প্রথমে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন মেঘা৷ কিন্তু সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে রাজি হয়ে যান৷ তাঁর দাবি, যদি তিনি পরীক্ষায় নারাজ হতেন তাহলে সন্দেহ আরও বাড়ত৷ পরীক্ষায় ভার্জিন বলেই প্রমাণিত হন তিনি৷ এরপর বিয়েও হয় দু’জনের৷ কিন্তু সন্দেহ মেটেনি মেঘার স্বামীর মনে৷ তাঁর দাবি, এ নিয়ে মেঘাকে রীতিমতো নির্যাতনের শিকার হতে হত তাকে৷ যৌনতাতেও মেঘার উপর একরকম অত্যাচারই চালাত তাঁর স্বামী৷ বছর পাঁচেক পরে এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি৷
মেঘার অভিযোগ পুলিশ গ্রহণও করেছে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুই পক্ষের বয়ান রেকর্ডের পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তবে বিয়েটা যাতে না ভাঙে তাই অন্যভাবেও সমস্যা সমাধানের আশায় পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.