সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবাদী কৃষকদের (Farmers’ protest) সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন নভজ্যোৎ সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ আনল শিখদের সর্বোচ্চ সংগঠন অকাল তখত (Akal Takht)। এদিন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় কংগ্রেস বিধায়কের গায়ে ছিল একটি শাল। বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। সেই শালে ‘ওমকার’-সহ শিখদের ধর্মীয় প্রতীকের নানা চিহ্ন আঁকা ছিল বলে অভিযোগ। পরে এজন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন সিধু।
সিধু কেন এমন শাল গায়ে দিয়েছেন বলে প্রশ্ন তোলেন ‘অকাল তখত’-এর প্রধান গিয়ানি হরপ্রীত সিং। তাঁর অভিযোগ, এর ফলে সিধু শিখদের অবমাননা করেছেন। তাঁকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। খবর পেয়ে সিধু টুইট করে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি লেখেন, ‘‘শ্রী অকাল তখতই সর্বোচ্চ। যদি অজান্তে একজন শিখেরও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকি সেজন্য ক্ষমা চাইছি। কত লোকই তো শিখ প্রতীক আঁকা পাগড়ি, পোশাক পরেন। এমনকী, গর্বের সঙ্গে ট্যাটুও করান। আমিও সেই ভাবেই একজন শিখ হিসেবে ওই শাল পরেছিলাম। কাউকে আঘাত দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’’
এদিন সিধুর গায়ে ওই শাল দেখে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন হরপ্রীত সিং। তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। তাঁকে সমর্থন করে বহু শিখ সংগঠন দ্রুত সিধুর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আর কেউ এই ধরনের কাজ করার সাহস পাবে না। প্রসঙ্গত, এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হল। সিধুর আচরণের নিন্দা করেন অকালি দলের মুখপাত্র ও দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মনজিন্দার সিং সিরসাও। তাঁর কথায়, ‘‘শিখদের ধর্মীয় প্রতীক আঁকা কোনও রকমের পোশাক পরার বিষয়কেই আমরা সমর্থন করি না।’’ শেষ পর্যন্ত সিধু ক্ষমা চাওয়ার পরে বিতর্কের অবসান হয়।
প্রসঙ্গত, এদিন পাঞ্জাবের গ্রামে প্রতিবাদী শিখদের সঙ্গে দেখা করেন সিধু। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ যথাযথ বলে উল্লেখ করে নিজের সমর্থনের কথা জানান তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.