সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিজোরামের পর এবার নাগাল্যান্ড। বিতর্ক উসকে প্রকাশ্যে চলল হাতির মাংসে ভুরিভোজ। সেই ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। তারপরই বনদপ্তরের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
[আরও পড়ুন: গাড়িতেই বেকড বিস্কুট! আমেরিকার তাপমাত্রা চিন্তা বাড়াচ্ছে আবহাওয়াবিদদের]
জানা গিয়েছে, গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের জুনেবটো জেলায়। লিটামি গ্রামের পাশে একটি জঙ্গলে গুলি করে হত্যা করা হয় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতিকে। তারপর সেটির ছাল ছাড়িয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি করা হয় মাংস। মহা উল্লাসে চলে ভুরিভোজ। শুধু তাই নয়, হাতিটির চামড়া ছাড়ানো ও মাংস বিলি করার ঘটনা রীতিমতো ক্যামেরাবন্দি করে পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে তা ভইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে ওই রাজ্যের বনদপ্তর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটকও করা হয়নি। হাতিটি বন্য না পোষা সেই বিষয় নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
কয়েকদিন আগেই মিজোরামে একটি হাতির মাংস খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। জানা যায়, কানহমুন ফরেস্ট রেঞ্জে কাজের জন্য অসম থেকে লক্ষ্মী নামের একটি হাতিকে আনে মিজোরামের বনদপ্তর। হৃদরোগে ৪৭ বছরের ওই হাতির মৃত্যুর পর সেটির মাংস নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় গ্রামবাসীরা। নিয়মমাফিক মৃত হাতিটিকে সৎকার করার কথা ছিল বনদপ্তরের। তবে দপ্তরের আধিকারিকদের সামনেই হাতির মাংস বিলি করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরিবেশ ও বনমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন বিশিষ্ট পশুপ্রেমী সুপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনায় জড়িতর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্যপ্রাণেও থাবা বসিয়েছে আধুনিক সভ্যতা। প্রায় সব রাজ্যেই রয়েছে চোরাশিকারিদের নেটওয়ার্ক। এহেন পরিস্থিতিতে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে উদ্বেগ।
[আরও পড়ুন: ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হোন, প্রার্থনা করে ১০০১ টি সিঁড়ি ভাঙলেন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.