Advertisement
Advertisement

Breaking News

উদয়নের রায়পুরের বাড়ির বাগান খুঁড়ে উদ্ধার হল হাড়গোড়-খুলি

দেখুন সেই কঙ্কাল উদ্ধারের হাড়হিম করা ভিডিও।

After digging, skeletons found udayan's raipur home
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 5, 2017 11:05 am
  • Updated:February 5, 2017 11:05 am  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নিজের মা-বাবাকে খুন করে রায়পুরের বাড়ির বাগানে পুঁতে দেয় উদয়ন দাস। শনিবার পুলিশি জেরায়, মা-বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করে উদয়ন। দু’জনকেই শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ির বাগানের মধ্যে পুঁতে দেয় সে। পুলিশকে নিজেই পুঁতে দেওয়ার জায়গা দেখিয়ে দেয় উদয়ন। সেই মতো রবিবার সকাল থেকে আকাঙ্ক্ষা শর্মার খুনি উদয়নকে সঙ্গে নিয়ে রায়পুরের বাড়ির বাগানে খোঁড়াখুড়ি শুরু করে পুলিশ। জেসিবি মেশিন নিয়ে এসে খোঁড়া হয় গোটা বাগান। মাটি খুঁড়তেই দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ পর মাটির অনেক গভীরে উদ্ধার হয় হাড়গোড়। দেহগুলির উপর প্রথমে বালি ও সিমেন্টের বস্তা রাখে সে। তার উপর মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে দেয় উদয়ন। রায়পুর পুলিশ জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা যাবে এই হাড়গোড়গুলি উদয়নের মা-বাবার কিনা।

(পাঞ্জাবে প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন পাক মহিলা)

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১দ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয় উদয়ন। তারপরই মা-বাবাকে খুন করার ছক কষে সে। ওই বছরই এক বর্ষার রাতে প্রথমে মাকে গলা টিপে খুন করে উদয়ন। তখন বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বাবা বাড়ি ফিরলে তাঁকেও একইভাবে খুন করে সে। এরপর বাড়ির বাগানে পুঁতে দেয় উদয়ন। এই ঘটনার পর আরও দু’বছর ওই বাড়িতে থাকত উদয়ন। তারপর ২০১৩ সালে পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে ভোপালে চলে যায় উদয়ন। মা-বাবার ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেটও বের করে উদয়ন। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে এতদিন পেনশন তুলত উদয়ন।

Advertisement

(বাবা-মাকেও খুন করে মাটিতে পুঁতে দেয় ‘সাইকো’ উদয়ন)

শুধু তাই নয়, প্রেমিকা খুনে ধৃত উদয়নের ভোপালের ফ্ল্যাটে নিত্যদিন বসত মদ্যপানের আসর৷ আকাঙ্ক্ষাকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য যে মার্বেলের বেদি তৈরি করেছিল উদয়ন, সেই বেদির উপর কলগার্লদের নিয়ে ফুর্তিতে মাতত সে৷ একাধিক নারীসঙ্গ ছিল উদয়নের নিত্যদিনের ‘অক্সিজেন’৷ একাধিক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা আকাঙ্ক্ষা জেনে যাওয়ার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে উদয়ন৷ প্রাথমিকভাবে ভোপাল পুলিশ এবং বাঁকুড়া পুলিশের তদন্তকারী দলের এটাই অনুমান৷

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, উদয়ন জেরায় স্বীকার করেছে সে নারীসঙ্গ ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারত না৷ নিত্যদিন রাতে কলগার্লদের প্রয়োজন পড়ত৷ সঙ্গে ছিল দামি বিলিতি মদ৷ এক নয়, একাধিক মেয়ে উদয়নের ‘শারীরিক খিদে’ মেটাতে নিত্যদিনই তার ভোপালের ফ্ল্যাটে আনাগোনা করত৷ পাড়াপ্রতিবেশীদের উদয়নের ফ্ল্যাটে প্রবেশাধিকার ছিল না৷ কিন্তু প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সুন্দরী অল্পবয়সি মেয়েদের রোজই উদয়নের ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যেত৷ মাঝরাতেও দামি গাড়ি করে অনেক সুন্দরী মেয়ের ফ্ল্যাটে আসা বা যাওয়া লেগে থাকত বলেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে৷

দেখুন সেই কঙ্কাল উদ্ধারের হাড়হিম করা ভিডিও-

ভিডিও ও ছবি: টিটুন মল্লিক

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement