সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) ধাক্কা বিজেপির জন্য আর পাঁচটা রাজ্য নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের মতো নয়। এই বিপর্যয়ের আরও একটা তাৎপর্যপূর্ণ ফলশ্রুতি হল গোটা দক্ষিণ ভারতে গেরুয়া শিবিরের শূন্য হয়ে যাওয়া। একই সঙ্গে গোটা দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গেরুয়া প্রভাব অনেকটা কমে যাওয়া। এই মুহূর্তে দেশের মানচিত্রে গেরুয়া প্রভাব যতটা, তার চেয়ে অনেক বেশি অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব।
কর্ণাটকের হারের পর বিজেপির (BJP) একার হাতে রইল আর মাত্র ৯টি রাজ্য। সেগুলি হল, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, গোয়া, অসম, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশ। যা গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে বিজেপি জোটের দখলে রয়েছে ছোটবড় আর ৬টি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, সিকিম, পুদুচেরি। এর মধ্যে একমাত্র হরিয়ানাতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী আছেন, বাকি রাজ্যগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী জোটসঙ্গীদের। সব মিলিয়ে দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ শাসন করে বিজেপি এবং জোটসঙ্গীরা।
এবার আসা যাক কংগ্রেসে। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের একার দখলে রয়েছে দেশের চারটি রাজ্য। রাজস্থান, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, হিমাচলপ্রদেশ (Himachal Pradesh)। যা গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। এছাড়া বিহার, তামিলনাড়ু এবং ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস (Congress) শাসক জোটের শরিক। এই এলাকাগুলির জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০.৫ শতাংশ শাসন করে কংগ্রেস।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির দখলে রয়েছে ৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সেগুলি হল বাংলা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা (Odisha), মিজোরাম, দিল্লি, পাঞ্জাব। এগুলিতে কমবেশি ২৪ শতাংশ জনতা বসবাস করেন। এর বাইরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ অবিজেপি শাসিত রাজ্যে বাস করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.