Advertisement
Advertisement

Breaking News

Chennai

বেইরুটের পর কি চেন্নাই? পাঁচ বছর ধরে বন্দরে পড়ে রয়েছে ৭০০ টন বিস্ফোরক

আর এই খবর সামনে আসতেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

After Beirut, 700 Tonnes Of Explosive Chemical Near Chennai Sparks Worry
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:August 6, 2020 10:56 pm
  • Updated:August 6, 2020 10:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ লেবাননের (Lebanon)‌ রাজধানী বেইরুটের (Beirut) পর এবার কী পালা তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) চেন্নাইয়ের?‌ সম্প্রতি বেইরুট বন্দরে মজুত রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফেটে যাওয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেখানে এখনও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। এবার এই একই পরিস্থিতি এবার হতে পারে চেন্নাইয়েও। কারণ সেখানে গত পাঁচ বছর ধরে মজুত রাখা রয়েছে ৭০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। যা কি না বিস্ফোরণ হলে আশপাশের এলাকাকে পুরো ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে। আর তাই এবার সেই আশঙ্কাই ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। 

[আরও পড়ুন: ২৮ বছর খালি পায়ে হেঁটেছেন প্রৌঢ়, অযোধ্যায় ভূমিপুজো সম্পন্ন হতেই ভাঙলেন পণ]

বাজি এবং সার তৈরির জন্য সাধারণত ব্যবহৃত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। জানা গিয়েছে, চেন্নাই (Chennai) বন্দরে নিয়ে আসা এই বিপুল পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও সেই কাজেই ব্যবহৃত হত। সেটি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল দেশে বাজি তৈরির রাজধানী হিসেবে খ্যাত শিবকাশিতে (Sivakasi)। কিন্তু নিয়ম না মেনে আমদানি করায় ২০১৫ সালে পুরো মাল বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস (Customs)। তারপর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে বন্দরের গোডাউনেই পড়ে রয়েছে ৭০০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এই প্রসঙ্গে কাস্টমসের এক আধিকারিক জানান, ‘‌‘‌এখানে ৩৬টি কন্টেনার রয়েছে। প্রত্যেকটিতে ২০ টন করে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট রয়েছে।’‌’ কিন্তু কেন এতদিন ধরে তা বন্দর এলাকায় এভাবে পড়ে রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‌‘‌এতদিন আদালতে মামলা চলছিল। গত নভেম্বরে তা শেষ হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইন নিলামের মাধ্যমে এগুলোকে এখান থেকে সরানো হবে।’‌’ তিনি আরও জানান, ‘‌‘‌শ্রী আম্মান কেমিক্যালস নামে একটি সংস্থা বেআইনিভাবে এত পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে এসেছিল। তাই পুরোটাকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ’‌’‌‌‌‌

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাম মন্দির নিয়েও উসকানি পাকিস্তানের, কড়া হুঁশিয়ারি নয়াদিল্লির]

এদিকে, লেবাননে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণে সরকারি মতে মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের। আহত পাঁচ হাজারেরও বেশি। শুধু তাই নয়, ধামাকার জেরে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বন্দরের গোদামগুলিতে মজুত রাখা হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য। বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে লেবাননের অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে অন্তত তিন মাসের শস্য মজুত রাখা হয়। কিন্তু বিস্ফোরণের জেরে বন্দরের গোদামগুলিতে মজুত থাকা শস্যভাণ্ডার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনওমতে মাসখানেক চালানোর মতো খাবার রয়েছে সরকারে হাতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement