সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই উত্তপ্ত রাজ্যসভা। উচ্চকক্ষে বলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে, এই অভিযোগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। সভা চলাকালীনই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিএসপি নেত্রীকে সমর্থন জানিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন কংগ্রেস, সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরাও।
[পাক সেনার লাগাতার গোলাবর্ষণ, নৌশেরায় স্কুলে আটকে বহু পড়ুয়া]
দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার কী মাত্রায় বাড়ছে। মঙ্গলবার এ বিষয় নিয়ে রাজ্যসভায় বলতে ওঠেন মায়াবতী। কিন্তু নির্ধারিত তিন মিনিট অতিক্রম করে যায় তাঁর বক্তব্য। এরপরই উপাধ্যক্ষ পি জে কুরিয়েন মায়াবতীকে থামতে বলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ‘বহেন জি’। যদি তাঁকে বলতেই দেওয়া না হয়, তাহলে সংসদে থেকে কী লাভ? এই প্রশ্ন তুলে উচ্চকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মায়াবতীর সমর্থনে এগিয়ে আসে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলি। কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিরোধী দলের সাংসদরাও।
[মোদি-যোগীর নিন্দা রুখে প্রহৃত হিন্দু যুবক! সত্যিটা কী?]
এর কিছুক্ষণ পরই নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মায়াবতী। তিনি জানান, সংসদে যদি তাঁকে বলতেই না দেওয়া হয়, তাহলে ওই পদের কোনও মানে হয় না।
Jab satta paksh mujhe apni baat rakhne ka bhi samay nahi de raha hai toh mera isteefa dena hi theek hai: Mayawati pic.twitter.com/gHiJcOuqNs
— ANI (@ANI_news) July 18, 2017
সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদও। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির দাবি, এভাবে কক্ষ ত্যাগ করে রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষের চেয়ারকে অপমান করেছেন বিএসপি নেত্রী। এর জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, রবিবারই সুষ্টুভাবে বাদল অধিবেশন পরিচালনার জন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনেই ভেস্তে গেল তাঁর সে আবেদন। আর বেড়ে গেল সংসদের অচলাবস্থার ধারা বজায় থাকার সম্ভাবনা।
[পাক সেনার লাগাতার গোলাবর্ষণ, নৌশেরায় স্কুলে আটকে বহু পড়ুয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.