Advertisement
Advertisement
Rahul Gandhi

টানা ৩০ ঘণ্টা জেরায় ক্লান্ত রাহুল! নিজেই ইডির কাছে চাইলেন ‘বিরতি’

ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত অধিকাংশ লেনদেনের দায়ই প্রয়াত মতিলাল ভোরার উপর চাপিয়েছেন কংগ্রেস নেতা।

After 30 hours of questioning, Rahul Gandhi sought a day's break, say Sources | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 16, 2022 9:19 am
  • Updated:June 16, 2022 9:19 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা তিনদিন জেরা। সব মিলিয়ে ৩০ ঘণ্টা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির প্রশ্নবাণে জর্জরিত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সম্ভবত ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সেকারণেই ইডির কাছে একটি দিনের বিরতি চেয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। আসলে তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পরও রাহুলের কাছে কাঙ্ক্ষিত উত্তর পাননি ইডি কর্তারা। তাই শুক্রবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।

সূত্রের দাবি ইডি (ED) কর্তারা কংগ্রেস নেতাকে বৃহস্পতিবারই তলব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেই একদিনের বিরতি চেয়েছেন। যা মঞ্জুর করা হয়েছে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক ইডির এক কর্তা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে রাহুল গান্ধীর জেরার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। তারপর তাঁর বয়ান লেখা হচ্ছে। সেই লিখিত বয়ানে স্বাক্ষর করিয়ে তারপর তাঁকে ‘ছুটি’ দেওয়া হচ্ছে। সেকারণেই জেরার প্রক্রিয়া এতটা দীর্ঘ হচ্ছে। রাহুলের এই সব বয়ান তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আগামী ২৩ জুন সোনিয়াকেও তলব করেছে ইডি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাহুলকে ইডির জেরার নিন্দা মমতার, শুক্রবার ফের তলব প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে]

সূত্রের দাবি, জেরায় রাহুল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইয়ং ইন্ডিয়া সংস্থা থেকে একটি টাকাও নেননি তিনি। ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ (Young India) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও ইডির পালটা দাবি, ২০১০ সাল অর্থাৎ সংস্থাটি তৈরি হওয়ার পর থেকে কোনও সেবামূলক কাজ করেনি ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’। যদি করে থাকে তার প্রমাণস্বরূপ নথি ইডির কাছে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাহুলের দাবি ইয়ং ইন্ডিয়া এবং কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে কী লেনদেন হয়েছে, সেসব তিনি কিছুই জানেন না। সবটাই দেখতেন মতিলাল ভোরা। ইয়ং ইন্ডিয়ার ব্যালেন্স শিটও মতিলাল ভোরাই দেখতেন। তিনি আবার ইতিপূর্বেই প্রয়াত হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ফের রেকর্ড পতন টাকার দামে, শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ অব্যাহত]

এদিকে শুক্রবার রাহুলের জেরার দিনও দিল্লি উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা। গত তিনদিনের মতো সেদিনও কংগ্রেস নেতারা দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন। বৃহস্পতিবারই অবশ্য দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এসবের মধ্যে আবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি পাশে পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। মমতা রাহুলকে দীর্ঘ জেরা করার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বলেই সূত্রের দাবি।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement