ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে লাগাতার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু ভাইবোনরা। সেই বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে কেন ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হল? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন আদিত্য ঠাকরে। সোশাল মিডিয়ায় উদ্ধবপুত্রের প্রশ্ন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বেহাল দশা নিয়ে যাঁরা সরব হয়েছেন, তাঁরা কেন বিসিসিআইয়ের সঙ্গে এই সিরিজ নিয়ে কথা বলেননি?
আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে বারবার সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হচ্ছে, এমন খবর ছড়াচ্ছে নেটদুনিয়ায়। সেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এমনকী হিন্দু মহাসভার তরফে সাফ হুমকি দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কানপুরে খেলতে এলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এমনকী ম্যাচের আয়োজন করতে না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে ওই সংগঠন।
তবে যাবতীয় চোখরাঙানি উড়িয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চেন্নাইয়ে শুরু হয়েছে ভারত বনাম বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। কিন্তু সিরিজের মাঝেই শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কি আদৌ ভারতে এসে খেলার অনুমতি দেওয়া উচিত? নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আদিত্য লিখেছেন, “বিদেশমন্ত্রকের কাছে জানতে চাই, গত দুমাস ধরে সোশাল মিডিয়াতে যে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, সেটা কি সত্যি? যদি সেটা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে কেন ভারতের বিজেপি সরকার বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? আর যদি এই অভিযোগ সত্যি না হয় তাহলে কেন সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা??”
শিব সেনা নেতার আরও দাবি, বিজেপি পরিচালিত সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। তার জেরে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের মধ্যেও। কিন্তু বিসিসিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেনি এই সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো। আদিত্যর প্রশ্ন, ভারতে ঘৃণার রাজনীতি ছড়ানোর জন্যই কি বেছে বেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুরাবস্থার খবর প্রকাশ করা হচ্ছে? পালটা দিয়ে বিজেপির দাবি, বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতিতে ভারতে খেলতে আসার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু খেলা চালিয়ে যেতে হবে আইসিসির বিষয়টি মাথায় রেখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.