সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বুধবার সকালে থানায় এসে সে জানায়, ‘আমি বিমানবন্দরে বোমা রেখেছিলাম’। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও ওই যুবক কাজ না পাওয়ার হতাশায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই দাবি আত্মসমর্পণকারীর। সত্যিই হতাশা নাকি ওই যুবকের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে তা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত সোমবার ম্যাঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি কালো ল্যাপটপ ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তা থেকে বিমানবন্দরে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওই ব্যাগ পড়ে থাকা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। কর্মীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ব্যাগটির ভিতরে থাকা বোমা উদ্ধার করা হয়। সন্ধের দিকে ওই বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এরপরই পুলিশ এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে। ঘটনার মোড় ঘুরল বুধবার সকালে। এদিন পুলিশের কাছে এসে পৌঁছয় আদিত্য রাও নামে এক যুবক। পুলিশকে জানায়, ম্যাঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাপটপ ব্যাগে ভরে বোমা রেখেছিল। শীর্ষ স্তরের পুলিশ আধিকারিক চেতন সিং রাঠোর বলেন, “পুলিশ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করার পরেই আদিত্য রাও আত্মসমর্পণ করে। আমরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। তারপরই তাকে আমরা ম্যাঙ্গালুরু পুলিশের হাতে তুলে দেব।”
কিন্তু কেন এমন কাজ করল আদিত্য? পুলিশ সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে আদিত্য। এমবিএ ডিগ্রিও রয়েছে তার। ২০১২ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি পায়। তবে বেশিদিন সেই চাকরি টেকেনি। চাকরি ছেড়ে দেয় সে। তবে কী কারণে চাকরি ছেড়েছিল আদিত্য, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এরপর কাজের খোঁজে সে চলে আসে ম্যাঙ্গালুরুতে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি মেলে। ৬ মাস যাবৎ সেই চাকরি করে আদিত্য। তারপর সে এক জায়গায় রাঁধুনির কাজও করে। বিমানবন্দরে বহুবার চাকরির জন্য আবেদন করেছে। তবে মেলেনি কাজ। সেই হতাশায় আদিত্য বিমানবন্দরে বোমা রেখেছিল বলেই দাবি ওই যুবকের। গোটা ঘটনাটির কিনারায় পুলিশ আদিত্য রাওকে দফায় দফায় জেরা করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.