বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও সোমনাথ রায়: সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে লিঙ্গবৈষম্য মূলক মন্তব্য করার অভিযোগ। বিতর্কে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীরের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে গোটা কংগ্রেস দলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস যে আদিবাসী বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী তা অধীরের এই মন্তব্যেই প্রমাণিত।
In another low, Leader of #Congress in LS, Adhir Ranjan Chowdhury, condescendingly refers to President Droupadi Murmu as “राष्ट्रपत्नी”.
Shameful indeed pic.twitter.com/k0yAnsLNRu
— Ramanathan B (@ramanathan_b) July 28, 2022
আসলে বুধবার সোনিয়া গান্ধীকে ইডির জেরার প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস (Congress) সাংসদরা। সেসময় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অধীর দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি না বলে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বসেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে বিজেপি। আসরে নেমে যান স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় একজন মহিলাকে এভাবে অপমানিত হতে দিলেন। তিনি আদিবাসী বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী।” স্মৃতির দাবি অধীরকে দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে।
স্মৃতি একা নন, এদিন সংসদ ভবনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির অন্য সাংসদরাও। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক মহিলা মুখ নির্মলা সীতারমণ তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর বক্তব্য, এটা দেশের আদিবাসীদের এবং রাষ্ট্রপতির অপমান। অধীরের এখনই ক্ষমা চাওয়া উচিত। সোনিয়া গান্ধীরও ক্ষমা চাওয়া উচিত এই ধরনের লোককে এত বড় পদে নিয়োগ করার জন্য।
যদিও দল বিড়ম্বনায় পড়া সত্ত্বেও ক্ষমা চাইতে নারাজ অধীর। তাঁর সাফাই, “তিনি রাষ্ট্রপতি বলতে গিয়েই ভুল করে রাষ্ট্রপত্নী বলে ফেলেছেন। এতে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। বিজেপি (BJP) তিল থেকে তাল করার চেষ্টা করছে। এই ভুলের জন্য যদি আমাকে ফাঁসিতে চড়ানো হয়, তাহলে চড়ানো হোক।” নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছ থেকে সময়ও চেয়েছেন অধীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.