সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় পেশ জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল৷ তুমুল হট্টগোলের মধ্যে ঐতিহাসিক বিলটি সংসদে পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ যদিও বিলটির পাস হওয়া নিয়মরক্ষা মাত্র, যথারীতি বিলটির বিরোধিতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি৷ এপর্যন্ত সব নিয়মমাফিকই চলছিল৷ তবে রাজনৈতিক বিরোধিতা করতে গিয়ে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সুরেই গলা মেলালেন বহরমপুরের সাংসদ৷
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে চাপে পাকিস্তান, সরব ইমরান সরকার]
গতকালই জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র৷ এদিন, সেই সংক্রান্ত জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল লোকসভায় পেশ করেন শাহ৷ তারপরই সুর চড়ান অধীর৷ কাশ্মীরকে বিভক্ত করার বিরোধিতা করেন তিনি৷ পাকিস্তানের সুরেই সুর মিলিয়ে কংগ্রেস সংসদীয় দলনেতা কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন৷ অমিত শাহকে তোপ দেগে অধীর বলেন, “আপনি বলছেন কাশ্মীর সমস্যা অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ কিন্তু ১৯৪৮ থেকেই কাশ্মীর সমস্যা মনিটর করছে রাষ্ট্রসংঘ৷ তাহলে বিষয়টি কীভাবে অভ্যন্তরীণ হয়? আমরা সিমলা ও লাহোর চুক্তি সই করেছি৷ সেগুলিও কি অভ্যন্তরীণ বিষয়?” তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগেই মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাতে আমাদের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছিলেন, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়৷ তাহলে আপনি কীভাবে এটিকে অভ্যন্তরীণ বলে দাবি করেন৷”
Adhir Ranjan Chowdhury, Congress, in Lok Sabha: You say that it is an internal matter. But it is being monitored since 1948 by the UN, is that an internal matter? We signed Shimla Agreement & Lahore Declaration, what that an internal matter or bilateral? pic.twitter.com/UPLd8BgwS6
— ANI (@ANI) August 6, 2019
অধীরের তোপের পালটা অমিত শাহ সাফ জানান, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ সেখানে সংবিধান মেনে কোনও আইন বলবৎ করতে কারও প্রয়োজন নেওয়ার প্রশ্নই নেই৷ শুধু তাই নয়, বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে শাহ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিন ভারতেরই অঙ্গ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানেও এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে৷ উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপ দাবি করে এসেছে পাকিস্তান৷ কিন্তু বরাবরই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ খারিজ করে এসেছে নয়াদিল্লি৷ এমনকি প্রথম মোদি সরকারের আমলে শ্রীনগরে রাষ্ট্রসংঘের কার্যালয় বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি৷ ফলে অধীরের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ফের বিশ্বমঞ্চে ভারতকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করতে পারে পাকিস্তান৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.