সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রামের স্বীকৃতি পেলেন অধীর চৌধুরি। লোকসভায় কংগ্রসের দলনেতা নির্বাচিত হলেন বহরমপুরের সাংসদ। মঙ্গলবার দলের স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে পাঁচবারের সাংসদকেই দলনেতা নির্বাচন করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন তথা কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের কাছে ৫৫ জন সাংসদ না থাকায় প্রধান বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি না পেলেও, বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হিসেবে কার্যত বিরোধী দলনেতার সব সুযোগ-সুবিধায় পাবেন তিনি। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, দলনেতা হওয়ার পাশাপাশি সমস্ত জরুরি কমিটিতেও কংগ্রেসের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনিই।
সোনিয়া গান্ধীর পর এই মুহূর্তে অধীর এবং কেরলের সাংসদ ডি সুরেশই কংগ্রেসের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাংসদ। তাই, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকেও কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠানো হয়েছিল বহরমপুরের সাংসদকে। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল, এবারে লোকসভায় কংগ্রেসের তরফে বড় পদ পেতে চলেছেন বহরমপুরের সাংসদ। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল হুইপ বা ডেপুটি হুইপ করা হতে পারে। কিন্তু, কার্যত সবাইকে চমকে দিয়ে দলনেতা নির্বাচিত করা হল অধীরকে। বহরমপুরের সাংসদ ছাড়াও লড়াইয়ে ছিলেন মণীশ তিওয়ারি, কেরলের সাংসদ ডি সুরেশ এবং শশী থারুর। কিন্তু, অধীরের অভিজ্ঞতা এবং বিগত লোকসভায় যেভাবে তিনি মোদি সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে কোণঠাসা করেছেন, সেদিকে লক্ষ্য করে তাঁকেই শেষ পর্যন্ত দলনেতা নির্বাচিত করা হল।
প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবার গুলবর্গা কেন্দ্র থেকে হেরে যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতার আসনটি ফাঁকা হয়। তখন থেকেই কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। একসময় শোনা গিয়েছিল রাহুল নিজেই এই পদটি নিতে পারেন। বিশেষ করে, তিনি যখন সভাপতি পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন তখনই ভাবা হয়েছিল তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে রাহুলই কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন। তাই অধীরের লড়াকু মানসিকতাকে কাজে লাগাতে তাঁকেই বিরোধী লোকসভার দলনেতা নিয়োগ করা হল। প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিদের পর, এই প্রথম বাংলার কেউ কংগ্রেসের এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ পেলেন।আর কিছুক্ষণ পরই সরকারিভাবে অধীরের নাম ঘোষণা করা হবে, এমনটাই খবর কংগ্রেস সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.