সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: তবে কি ‘প্রাক্তন’-ই হয়ে গেলেন প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী? সোমবার কংগ্রেস সদর দপ্তরে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর।
আলোচনা শুরুর আগেই হঠাৎ করে মীর অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করেন। যারপরই হতাশা প্রকাশ করলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। মঙ্গলবার বলেন, “নির্বাচনের পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে অন্য অনেকের মতো, আমিও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলি। এটা প্রথা। তখন সভাপতি বলেন, দিল্লি এসে আলোচনা করতে। মাঝে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতা হওয়ার প্রস্তাব পাশ করাতে কলকাতায় প্রদেশ কমিটির বৈঠক ডাকতে বলা হয়। তার মানে তো আমিই সভাপতি। আমায় তো এখনও সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) সরকারিভাবে কিছুই জানাননি। অথচ সোমবার আমায় প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে উল্লেখ করলেন মীর সাহেব। উনি বাংলার কতটা বোঝেন জানা নেই। তাই তো বৈঠকে এমন অনেক মুখ দেখলাম না, যাঁরা রাজ্যে জান লড়িয়ে দলটা করে।”
তাঁকে হঠাৎ করে ‘প্রাক্তন’ করে দেওয়ায় তৃণমূলের চক্রান্তও দেখছেন অধীর। বলেন, “তৃণমূলের অনেক নেতা প্রকাশ্যে বলেন, যে তাঁরা অধীর চৌধুরীকে কংগ্রেস থেকে বার করার ব্যবস্থা করেছি।” যদিও তিনি স্পষ্ট করে দেন, “নির্বাচনের আগেই হাইকমান্ডকে বলেছিলাম, রাজ্যে আমাদের দলকে তৃণমূল শেষ করে দিচ্ছে। তাই ভোটে লড়তে গেলে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করতেই হবে। সেই সময় সভাপতির তা ভাল না লাগায় তিনি দলত্যাগের কথাও বলেন। যা ভাল লাগেনি। এরপর যখন আমিও হেরে গেলাম, দায় নিয়ে পদত্যাগ করলাম।”
অধীরকে নিয়ে শুরু হওয়া এই পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছে বিজেপিও। তাদের রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য আরও একবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, “কংগ্রেসে থেকে তৃণমূল বিরোধীতা সম্ভব নয়। আমরা আগেও বলেছি উনি এমন এক যোগ্য খেলোয়াড়, যিনি অযোগ্য দলে আছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.