সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেভাগে সংসদে ফের কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যুতে জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) নিন্দায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার সংসদে এর প্রতিবাদে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা অহেতুক জওহরলাল নেহরুর সমালোচনা করেন। কাশ্মীরে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনার দাবি জানাচ্ছি।”
সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস বিল নিয়ে বিতর্কে অধীর অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা সব সময় বলে থাকেন, দেশের ক্ষতি করেছেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এই ধরনের মন্তব্য শুনে শুনে ক্লান্ত কংগ্রেস কর্মীরা। বরং কাশ্মীর এবং নেহরুকে নিয়ে একটি বিতর্ক হোক। বুধবার অমিত শাহর পাশাপাশি নেহরুর সমালোচনা করেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর আজও ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবেই থাকত। শুধু প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর দুটি ভুলের জন্য অধিকৃত কাশ্মীর আজ ভারতের সঙ্গে নেই। নেহেরুর প্রথম ভুল, আমাদের সেনা যখন যুদ্ধে জিতছিল, তখন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা এবং সেটাকে কার্যকর করা। আর তিনটে দিন পর যুদ্ধবিরতি হলেও আজ পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে থাকত। নেহেরুর দ্বিতীয় ভুল, ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়া।”
এর পর রবিশংকর বলেন, “সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ৫৪০টির বেশি রাজত্বকে (রাজ পরিবারের শাসনে থাকা স্বাধীন রাজ্য) আইনত ভারতভুক্ত করেন। একটি রাজ্য কাশ্মীর নিয়েই গোলমাল পাকান নেহরু। ২০১৯ সালে ওই সমস্যার সমাধান হয়।” ঘুরিয়ে কংগ্রেসের ‘ব্যর্থতা’ এবং মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের ‘সাফল্যে’ কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পালটা কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অধীর চৌধুরী। টেনে আনেন পুলওয়ামা প্রসঙ্গও। এর পরেই নেহরুকে সারাদিন ব্যাপী আলোচনার দাবি জানান তিনি। রবিশংকরের বক্তব্যের বিরোধিতায় অধীর বলেন, “ইতিহাস বিকৃত করে নেহরু প্যাটেলের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.