নন্দিতা রায়: উদয়পুর চিন্তন শিবিরের দলিল দস্তাবেজ আপাতত বন্দি থাকছে এআইসিসির সদর দফতর দিল্লির আকবর রোডের আলমারিতে। সভাপতি নির্বাচন ছাড়া কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না কংগ্রেস। তাই নতুন বছরের বাজেট অধিবেশনেও লোকসভা ও রাজ্যসভায় নেতৃত্ব দেবেন অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত। তাই ‘এক ব্যক্তি এক পদে’র সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। সেখানেই অধীর ও খাড়গেকে লোকসভা ও রাজ্যসভার দলনেতার পদ থেকে সরতে হবে বলে সূত্রের খবর।
একদিকে রাহুলের (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে ব্যস্ত থাকবেন। কাশ্মীরে পদযাত্রা শেষে দিল্লি ফিরবেন। দু’-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। অন্যদিকে, সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। গান্ধী পরিবারের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যর অনুপস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে অসম্ভব।
যতই ঢাকঢোল পিটিয়ে ভোট করে খাড়গেকে সভাপতি করা হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সোনিয়া-রাহুলের মত জরুরি। তাই এবারও শিকে ছিঁড়ছে না দুই সাংসদ শশী থারুর ও জয়রাম রমেশের। কারণ থারুরকে অধীরের জায়গায় লোকসভায় ও রমেশকে খাড়গের বদলে রাজ্যসভায় দলনেতা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। বাজেট অধিবেশনের মাঝপথে দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। সেই মঞ্চ থেকেই খাড়গে-অধীর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
অন্যদিকে, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার শেষদিন সমমনস্ক সব বিরোধী দলকে একত্রিত করার টার্গেট নিল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে ২১টি সমমনস্ক বিরোধী দলকে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, আরজেডির তেজস্বী যাদব, ডিএমকের স্ট্যালিন, এনসিপির শরদ পওয়ার, শিব সেনার (Shiv Sena) উদ্ধব ঠাকরে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহ এবং বাম দলগুলির নেতাদের কাছে গিয়েছে খাড়গের চিঠি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.