সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট (Hindenburg Report) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুর হয়েছে রক্তক্ষরণ! গতকালই এক রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে একমাসে ১২ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group)। কোনও ভারতীয় সংস্থার মূলধনে এমন ধস নজিরবিহীন। এবার জানা গেল বাজারে থাকা ধার মেটাতে নাকি আরও প্রায় ৩ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা ধার করতে চাইছে আদানি গোষ্ঠী। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকা কারমাইকেল খনি বন্ধক রাখার কথা ভাবছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা।
ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ওই কয়লাখনি বন্ধক রেখে ঋণ নিতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। সেই টাকায় বাজারের ধার মেটাবে তারা। ধার মেটাতে ধার করার এই পদ্ধতি আদানি গোষ্ঠীর জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ঋণদাতা সংস্থার থেকে সদার্থক বার্তা পেয়েছে গৌতম আদানির সংস্থা। তবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে হিন্ডেনবার্গের বিতর্কিত রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলিকে। সেই পরীক্ষায় পাস করলেই ঋণ মিলবে।
গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সংস্থাগুলির মূলধন ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। এর পরেই আমেরিকার আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসে। যা অস্বীকার করে আদানি গোষ্ঠী। তথাপি ১৯ লক্ষ কোটি থেকে ৭.২ লক্ষ কোটিতে এসে ঠেকেছে সংস্থার মূলধন। আদানি গোষ্ঠীর যে তিন সংস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলি হল আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি ট্রান্সমিশন।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ আনার পরেই সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নীরব থাকায় কটাক্ষ করে রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, গোটাটাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এমন ডামাডোলের আবহে ক্রমশ ‘গরিব’ হচ্ছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যেমন নিচে নামছেন বিতর্কিত শিল্পপতি, তেমনই তাঁর সংস্থাগুলিরই সম্পদের পরিমাণ হুড়মুড় করে কমছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.