নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: জল্পনার অবসান। বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ জয়া প্রদা। প্রায় বছর তিনেক সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা রেখে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন তিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রামপুর থেকে বিজেপির টিকিটে লড়তে পারেন জয়া প্রদা।
গত দু’দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অভিনেত্রী। আসলে, রাজ্যসভার সাংসদ তথা একসময়ের সমাজবাদী পার্টির শীর্ষস্তরের নেতা অমর সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জয়া প্রদা। সম্প্রতি অমর সিং গেরুয়া শিবিরের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। তাঁর হাত মাধ্যমেই প্রাক্তন সাংসদের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপি দপ্তরে গিয়ে দলীয় পতাকা তুলে নেন জয়া প্রদা। দলে যোগ দিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মোদির যোগ্য নেতৃত্বে কাজ করতে পারলে তিনি গর্ববোধ করবেন। জয়া প্রদা বলেন, “এটা আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়। আমি এখন এমন একটি জাতীয় দলের সদস্যা যার নেতা দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। আমি মোদিজির নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে গর্বিত।”
এর আগেও অবশ্য একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৯৪ সালে প্রথম টিডিপিতে যোগ দিয়েছিলেন জয়া প্রদা। এরপর চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে ঝামেলার জেরে টিডিপি ছেড়ে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টিতে। ২০০৪ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। তারপর ২০০৯ সালে সেখান থেকেই পুনর্নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপর সপা শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়ান জয়া প্রদা। ২০১০ সালে তিনি সপা থেকে বিতাড়িত হন। এরপর অমর সিংয়ের সঙ্গে মিলে নতুন একট দলও তৈরি করেন। কিন্তু সেই দল ভোটে খুব একটা ফায়দা তুলতে পারেনি। ২০১৪ সালে বিজনৌর থেকে ভোটে লড়ে পরাস্ত হন জয়া প্রদা। তারপর অবশ্য রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়ই ছিলেন তিনি।
বিজেপি সূত্রের খবর, পুরনো কেন্দ্র রামপুর থেকেই তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁকে লড়তে হবে আজম খানের বিরুদ্ধে। এই আজম খানের বিরুদ্ধেই সাংসদ থাকাকালীন জয়া প্রদার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
Delhi: Veteran actor and former MP Jaya Prada joins Bharatiya Janata Party. pic.twitter.com/vmZD3H1PSL
— ANI (@ANI) March 26, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.