Advertisement
Advertisement
Morbi Bridge Collapse

Morbi Bridge Collapse: মোরবির দুর্ঘটনা ‘ঈশ্বরের কাজ’, দাবি সেতু মেরামতকারী সংস্থার আধিকারিকের

মেরামত করা হয়নি সেতু, দাবি ফরেন্সিক রিপোর্টে।

'Act of God', says company official on Morbi Bridge Collapse | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 2, 2022 6:34 pm
  • Updated:November 2, 2022 6:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোরবিতে (Morbi Bridge Collapse) সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনাকে অ্যাক্ট অফ গড বলে দাবি করলেন ওই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার আধিকারিকরা। ওরেভা কোম্পানি নামে ওই সংস্থার দুই আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের একজন বলেছেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরোপুরিভাবে মেরামত না করেই এই সেতু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। মোরবির হ্যাঙ্গিং ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সেই কথা প্রশাসন আগে থেকেই জানত বলেও শোনা গিয়েছে।

অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটার এইচএস পাঞ্চাল জানিয়েছেন, আদালতে পেশ করা হয়েছিল ওরেভা কোম্পানির দুই আধিকারিককে।তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, “সেতু ভেঙে পড়ার বিষয়টি ইশ্বরের ইচ্ছাতেই হয়েছে।” তবে এই বিষয়ে কোম্পানির আধিকারিক আরও কিছু বলেছেন কিনা, তা জানা যায়নি। তবে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেতুর ভারসাম্য রক্ষাকারী তারগুলি বিকল হয়ে গিয়েছে, সেই কথা স্থানীয় প্রশাসন আর ওরেভা কোম্পানির আধিকারিক-সকলেই জানতেন। তাছাড়াও কোম্পানির তরফ থেকে স্থানীয় জেলাশাসককে সেতু সম্পর্কে একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে নিয়োগের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা, সপাটে চড় কষালেন পুলিশকর্মী]

কী লেখা ছিল ওই চিঠিতে? স্থানীয় জেলাশাসককে গুজরাটি ভাষায় একটি চিঠি লিখেছিল ওরেভা কোম্পানি। সেখানে লেখা ছিল, আমরা আপাতত জোড়াতালি ব্রিজের কাজ করে দিচ্ছি। পুরোপুরিভাবে সেতু সারানো হবে না। তবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি। আমাদের সঙ্গে চুক্তি সই হয়ে যাওয়ার পরেই সেতু সারানোর কাজে হাত দেব।” ২০২০ সালে এই চিঠিটি লেখা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে এই চিঠি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মেরামতির কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। 

মোরবিতে ব্রিজ ভেঙে পড়ার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, অকেজো হয়ে গিয়েছিল সেতুর কেবলগুলি। মেরামতির কথা বলা হলেও কেবলগুলি পালটানো হয়নি। গ্রিজিং করার দরকার থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা তা করেনি। আরও জানা গিয়েছে, টেন্ডার ডেকে সেতু মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়নি ওরেভাকে। বরং সরাসরি তাদের হাতেই সেতু মেরামতির ভার দেওয়া হয়। আপাতত মোরবি কাণ্ডে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গণহত্যার মামলা আনা হয়েছে ওরেভা কোম্পানির বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন:শিকারের খিদে জাগাতে কুনো জাতীয় উদ্যানের ‘সফট এনক্লোজারে’ মোদির ছাড়া চিতারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement