Advertisement
Advertisement
Manmohan Singh

সিং যখন ‘কিং’ ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের ‘না বলা’ ১৫ সাফল্য

ঢক্কানিনাদ পছন্দ করেন না তিনি। নীরবে কাজ করে যাওয়াই তাঁর ব্রত। অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর অনেক সাফল্যই তাই আড়ালে থেকে যায়।

Manmohan Singh: Achievements of Former Prime Minister
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 27, 2024 11:27 am
  • Updated:December 27, 2024 2:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢক্কানিনাদ পছন্দ করেন না তিনি। নীরবে কাজ করে যাওয়াই তাঁর ব্রত। অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রীর অনেক সাফল্যই তাই আড়ালে থেকে যায়। কিন্তু প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কিছু কাজ ইতিহাসে থেকে যাবে।

১। ১০০ দিনের কাজ: জাতীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি আইন। ২০০৫ সালে মনমোহনের আনা এই আইন আজ গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২। পরমাণু চুক্তি: ২০০৮ সালে বাস্তবায়িত হওয়া ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি শুধু যে ভারতের শক্তির চাহিদা পূরণ করেছে তাই নয়, একই সঙ্গে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের পথ খুলে দিয়েছে। যা বর্তমান ভূরাজনীতিতে ভারতের দাপটের ভিত্তি।
৩। তথ্য জানার অধিকার আইন: ২০০৫ সালে পাস হয় ঐতিহাসিক আরটিআই আইন। এই আইনের আওতায় সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকার পায় আমজনতা।
৪। দুই সংখ্যায় আর্থিক বৃদ্ধি: তাঁর আমলেই প্রথমবার দেশের আর্থিক বৃদ্ধি দুই সংখ্যা পেরোয়। ২০০৬-০৭ সালেই দেশের GDP বৃদ্ধির হার ১০.০৮ শতাংশের মাত্রা ছোঁয়।
৫। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন: ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের সূচনা করে মনমোহন সরকার। দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে ভর্তুকিপ্রাপ্ত খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার আওতায় আনা হয়। স্কুলের মিড ডে মিল, ICDS, PDS, সবকিছু খাদ্য সুরক্ষার আওতায় আসে।
৬। ১ লক্ষ কোটির অর্থনীতি: ২০০৭ সালে মনমোহন আমলেই দেশের অর্থনীতি ১ লক্ষ কোটি ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। বিশ্বের তাবড় দেশের তালিকায় নাম তোলে ভারত।

Advertisement

৭। দারিদ্র দূরীকরণ: ২০০৪ সালের দেশে দারিদ্রের হার যেখানে ৩৭.২ শতাংশ ছিল। ৮ বছর পরে ২০১২ সালে তা ২১.৯ শতাংশে এসে ঠেকে। মাত্র ৮ বছরে ১৫ শতাংশের বেশি দারিদ্র কমান মনমোহন।

৮। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ: ২০১২ সালে মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেলে ৫১ শতাংশ এবং সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেলে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে অনুমোদন।

৯। কৃষি ঋণ মকুব: প্রথম ইউপিএ সরকারের অন্যতম জনমোহিনী সিদ্ধান্ত প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ মকুব।

১০। মিড ডে মিলে বিনিয়োগ: ইউপিএ সরকারের আমলে মিড ডে মিল প্রকল্পকে ঢেলে সাজানো হয়। প্রথমবার দেশের সব সরকারি স্কুলে চালু করা হয়। ব্যাপক বিনিয়োগ করে কেন্দ্র।

১১। স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন ও পরিকাঠামো: বাজপেয়ী আমলের সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প সম্পন্ন করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে মনমোহন সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্পেশ্যাল ইকনোমিক জোন গড়ে বিনিয়োগের পথ সুগম করা হয়।

১২। আধার কার্ড: যে আধার কার্ড আজকাল প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পে বাধ্যতামূলক, সেটা শুরু হয় মনমোহনের আমলে। ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতীয়দের অভিন্ন পরিচয়পত্র তৈরির উদ্দশে আধার কার্ডের সূচনা হয়।

১৩। মহকাশ গবেষণা: তাঁর আমলে মহাকাশ গবেষণা নতুন দিশা পায়। ২০০৮ সালে দেশের প্রথম চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণ। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানের উৎক্ষেপণও হয় মনমোহনের আমলেই।

১৪। পোলিওমুক্ত ভারত: মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) আমলে ২০১২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৫। লোকপাল আইন: দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ সরকারকে শুদ্ধ করতে ২০১৩ সালে লোকপাল আইন তৈরি করেন মনমোহন। ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য জনলোকপাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement