Advertisement
Advertisement

Breaking News

উন্নাও ধর্ষণ

‘বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও সাড়া দেয়নি পুলিশ’, বিস্ফোরক উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবা

'ধর্ষকদের হায়দরাবাদের মতো গুলি করে মারা হোক', দাবি নির্যাতিতার পরিবারের।

Accused should be killed like in Hyderabad or hanged: Father
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 7, 2019 11:38 am
  • Updated:December 7, 2019 11:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই রাজ্যে পুলিশের দুই চেহারা।  ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে হায়দরাবাদ পুলিশ যেখানে বাহবা কুড়োচ্ছে, সেখানে ধর্ষিতার আবেদন না নেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, গায়ে আগুন লাগানোর আগেও বারবার তাঁর মেয়েকে খুনের হুমকি দিয়েছে অভিযুক্তরা। তাঁরা থানাতেও জানিয়েছিলেন সে কথা। কিন্তু, বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।


নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, নভেম্বর মাসে জামিন পাওয়ার পর থেকেই শিবম ত্রিবেদী নামের ওই অভিযুক্ত লাগাতার তাঁর মেয়েকে খুনের হুমকি দিত। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিত। এমনকী, তাঁকেও ব্যক্তিগতভাবে খুনের হুমকি দেওয়া হত। কিন্তু, এসব সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপই করেনি। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “বিজেপির শীর্ষ স্থানের নেতা বা প্রশাসনের শীর্ষস্থানের কোনও কর্তা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। প্রশাসনের তরফে একজন ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এসে দেখা করে গিয়েছেন শুধু। কিন্তু, তাতেও কিছু হয়নি।” ওই ধর্ষককে হয় হায়দরাবাদের মতো গুলি করে মারা হোক, নাহয় ফাঁসি দেওয়া হোক। নির্যাতিতা তরুণীর বাবা এমনটাই দাবি করেছেন। নির্যাতিতার ভাই বলছেন, যেভাবেই মারা হোক, ওঁরা যেন বেঁচে না থাকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও মেরে ফেলো’, কাতর আর্তি হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে খতম অভিযুক্তের স্ত্রীর]

উল্লেখ্য, গতবছর উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের একটি গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। এবছর মার্চ মাসে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। জামিন পেয়েই বদলা নেওয়ার চেষ্টা করে সেই নরপিশাচ। প্রকাশ্য রাস্তায় নির্যাতিতার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে ৪০ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের মেয়ের দেহ আর পোড়ানো হবে না। কারণ, পোড়ানোর মতো কোনওকিছু অবশিষ্ঠ নেই। তাঁকে কবর দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: সফল এনকাউন্টারের পর পুলিশের ভবিষ্যৎ কী? জেনে নিন সুপ্রিম কোর্টের নিয়মাবলি]

এদিকে, বিরোধীদের চাপের মুখে খানিকটা নড়েচড়ে বসেছে যোগী প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথ জানিয়েছেন, এই মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement