সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই-জয়পুর এক্সপ্রেসে ৪ জনকে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্ত RPF জওয়ান চেতন সিং। সোমবারের ঘটনার পরই সামনে এসেছিল তাঁর বদমেজাজের কথা। সামান্য কথাতে হঠাৎ করে তিনি যে মাথা গরম করে ফেলেন, সে কথা তাঁর সহকারীরাই জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার আরপিএফ কর্মী চেতন সিংয়ের সেই মাথা গরম করার কথাই সামনে এল। দাবি, শিফট পুরো না করে আগেই ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। তা না মেলাতেই মেজাজ হারিয়ে ওই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি।
সেদিন চেতনের সঙ্গেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এএসআই টিকারাম মীনা, কনস্টেবল নরেন্দ্র পারমার। খুনের ঘটনায় এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, রাত ২.৫৩ মিনিট নাগাদ ছুটি চেয়েছিলেন চেতন। তার শরীর ভাল লাগছিল না। কিন্তু সিনিয়ররা জানিয়ে দেন তাকে পুরো শিফট করতে হবে। এর পরই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টর টিকারাম মীনাকে নিশানা করে গুলি চালান।
এ নিয়ে অপর আরপিএফ কনস্টেবল অময় আচার্য জানিয়েছেন, ”ডিউটির সময় চেতন সিং, মীনা আর তিন জন টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। মীনা আমাকে বলেন, সিংয়ের শরীর ভাল লাগছে না। এরপর আমি ওর গায়ে হাত দিয়েছিলাম। বোঝার চেষ্টা করছিলাম শরীরে জ্বর রয়েছে কি না। কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। সিং বারবারই বলছিল মুম্বইয়ের আগেই অন্য স্টেশনে নামতে চায়। আগেই ডিউটি থেকে ছুটি চাইছিল। তবে মীনা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন দু’তিন ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেন মুম্বইতে যাবে। তখনই যেন ডিউটি শেষ করেন তিনি। তবে সিং কিছুতেই বুঝছিল না। এরপর মীনা মুম্বই সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেও ফোন করে তাকে বোঝানো হয়। এরপর এএসআই অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার সুজিত কুমারকে ফোন করেন। তিনিও সিংকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চেতন সিং কিছুতেই বুঝছিল না।”
ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। পাশাপাশি কংগ্রেসের বক্তব্য, কোনও রকম হিংসাকে তারা সমর্থন করে না। রেল মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, চেতনের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যা দেখা গিয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার ওই জওয়ানের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই। তেমনই ইঙ্গিত সূত্রের। চেতনের পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছে, বরাবরই মাথাগরম ও বদমেজাজি ওই জওয়ান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.