Advertisement
Advertisement

মার্কিন নেভি সিলসের কায়দায় দুজানাকে খতমের ছক কষে যৌথবাহিনী

ব্লকবাস্টার ছবি ‘জিরো ডার্ক থার্টি'-র ছকেই খতম দুজানা।

Abu Dujana encounter scripted on Hollywood movie based on Osama bin Laden
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 3, 2017 5:12 am
  • Updated:August 3, 2017 5:12 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল কায়দা সুপ্রিমো ওসামা বিন লাদেনকে যেভাবে খতম করেছিল মার্কিন নেভি সিলস কম্যান্ডোরা, ঠিক সেভাবেই কাশ্মীরে খতম করা হয় লস্কর জঙ্গি আবু দুজানাকে।

সোমবার মাঝরাতে নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছে গুপ্তচর মারফত খবর আসে, যে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে দুজানা। এক মুহূর্ত দেরি না করে অভিযানের ব্লু-প্রিন্ট বানিয়ে ফেলেন সেনা কর্তারা। ‘অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার’ নামে অত্যন্ত গোপন অভিযানে ২০১১ সালের মে মাসের গভীর রাতে লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খতম করেছিল মার্কিন কমান্ডোরা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি হয় হলিউডের ব্লকবাস্টার ছবি ‘জিরো ডার্ক থার্টি’। সেই ছবি অনুসারেই সোমবার অভিযান চালান ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। খতম করা হয় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আসা জঙ্গি দুজানাকে।

Advertisement

[সেনার গুলিতে খতম শীর্ষ লস্কর নেতা আবু দুজানা]

কী করে শুরু হয় ওই নাটকীয় অভিযান? বেশ কিছুদিন ধরেই জঙ্গি আবু দুজানার গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দারা। তাঁদের কাছে খবর ছিল যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায়ই পুলওয়ামার হাকরিপোরার একটি আবাসনে আসত ওই জঙ্গি। এর আগেও সে দু’বার ওই আবাসনে এসেছিল বলে জানতে পারেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই শুরু হয় নজরদারি। গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেন, যে আবাসনে ওই জঙ্গি আসার আগে বেশ থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও প্রত্যেকবার তার আসার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। এদিন নজরদারি চালিয়ে আবাসনে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা বুঝতে পারে পুলিশ। তারপরই সাদা পোশাকে আবাসনটিকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে নজরদারির পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল, সিআরপিএফ ও ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এর একটি যৌথ দল। প্রায় সাত বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর ফাঁদে পড়ে নিকেশ হয় দুজানা।

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর রেঞ্জ) মুনির খান জানান, কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে নয়াদিল্লির পাক হাই কমিশনারের কাছে দুজানার দেহ গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়েছিল। করাচির আদি বাসিন্দা ছিল দুজানা।  কিন্তু বুধবার তার দেহ নিতে অস্বীকার করে পাকিস্তান। কারণ, দেহ নিলে প্রমাণ হয়ে যেত দুজানা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট একজন জঙ্গি। তাই ভারতের চাপ সত্ত্বেও কৌশলগত কারণেই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি ইসলামাবাদ। এদিকে দুজানাকে খতম করার পর এবার সেনাবাহিনীর টার্গেট রিয়াজ নাইকু এবং জাকির মুসা।

[ডোকলামে অবস্থার অবনতি, চিনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে মোদি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement