ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট শেষ হয়েছে শনিবার সন্ধে ৬টার সময়। রবিবার সন্ধে ৬ টার পরও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক কত শতাংশ ভোট পড়ল তা চূড়ান্ত করে জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাহলে কমিশন করছেটা কী? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়ে ভোটের হার ৬২.৫৯ শতাংশ। কিন্তু, ততক্ষণে যা রাজনৈতিক তরজা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
Absolutely shocking. What is EC doing? Why are they not releasing poll turnout figures, several hours after polling? https://t.co/ko1m5YqlSx
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 9, 2020
শনিবার ভোট শেষের সময় কমিশনের তরফে জানানো হয়, দিল্লিতে মোট ভোট পড়েছে ৫৭.০৩ শতাংশ। তবে এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ওই সংখ্যাটা চূড়ান্ত নয়। বেশ কিছু জায়গায় মানুষ এখনও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোটদান পুরোপুরি মিটলে হিসেব করে চূড়ান্ত হার ঘোষণা করা হবে। কিন্তু, সেই চূড়ান্ত ভোটের হার আর ঘোষণা করে উঠতে পারেনি কমিশন। ভোটগ্রহণপর্ব মেটার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কমিশনের ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ভোটের হার আপডেট করা হয়নি। যা নিয়ে একটি গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন আপ সুপ্রিমো। অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) টুইট করে বলছেন, “আশ্চর্য! নির্বাচন কমিশন করছেটা কী? এখনও ভোট শতাংশ জানাতে পারল না।”
আপ শিবিরের দাবি, কমিশনের ভোটের হার না জানানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ইভিএম নিয়ে মানুষের মনে হাজারো প্রশ্ন আছে। তাছাড়া দিল্লির নির্বাচনের পরে ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। তাঁর দাবি, দিল্লিতে ভোটের পর সন্দেহজনকভাবে গাড়িতে এবং ভোট আধিকারিকদের হাতে করে ইভিএম নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের চূড়ান্ত হার না জানানোটা বেশ সন্দেহজনক। সঞ্জয় সিং এতে স্পষ্ট চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন। তিনি বলছেন, “দিল্লির মাত্র ৭০ আসনের ভোট। অনেক বড় রাজ্যের ভোটে দিনের দিনই চূড়ান্ত ভোটের হার জানিয়ে দেয় কমিশন। কিন্তু, দিল্লিতে কেন জানাতে পারল না? এর মানে, ভিতরে ভিতরে কিছু একটা চলছে।” আপের এই খোঁচার পর নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে দিল্লিতে ভোট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ।পালটা সাংবাদিক বৈঠক করে আপ দাবি করে, আসলে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, তাতে সাফল্য এল কী? বিতর্ক কিন্তু চলছেই..।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.