নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিজেপির এক দেশ, এক ভোটের দাবি হাস্যকর। সোমবার সংসদে ঢোকার মুখে কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। তাঁর খোঁচা, যারা বাংলায় আট দফায় ভোট করায়, তাঁরা নাকি দেশে এক দফায় নির্বাচন করাবে, ব্যাপারটাই হাস্যকর। একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, ভোটপ্রক্রিয়ায় বদল এনে সংবিধান বদলে দিতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক।
এদিন সাংবাদিকরা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে এক দেশ, এক ভোটে নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাব অভিষেক বলেন, “দেশের ১৪০ কোটি মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে, তাদের বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্রের সরকার! যারা বাংলায় আট দফায় নির্বাচন করায়, তারা দেশে এক এক দফায় নির্বাচন করবে! এটা হাস্যকর!” তবে এখানেই থামেননি সাংসদ। তাঁর আরও সংযোজন, “২ বছর অন্তর অন্তর যদি মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে থাকে তবে কেন্দ্র সরকার চাপে থাকে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া, সংবিধান বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা এটা। আমরা আগেই বলেছিলাম। দেশবাসীর ৫ বছরে ছবার ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে একবার ভোট দিতে বলছে। এটা হয় নাকি?”
Hon’ble MP Shri @abhishekaitc raised a crucial point: when @ECISVEEP holds elections in eight phases in just one state, how do they expect to manage simultaneous elections across the entire country?
The real reason behind One Nation, One Election is evading accountability.… pic.twitter.com/4rsMmC4hNJ
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) December 16, 2024
এক দেশ, এক ভোট চালু হলে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা চলে যাবে বলে মনে করছেন অভিষেক। তিনি অভিযোগ, ১৪০ কোটি মানুষের ক্ষমতা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। তবে তৃণমূল সাংসদের স্পষ্ট বার্তা, “যতদিন আমরা (তৃণমূল সাংসদ) ততদিন এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আমরা কেড়ে নিতে দেব না।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন। বৃহস্পতিবার মোদির মন্ত্রিসভা সায় দিয়েছে বলেই খবর। তবে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী তৃণমূল। প্রায় একই সুর সিপিএম এবং কংগ্রেসের গলাতেও। তবে বিরোধীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.