সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে আলোচনায় রাহুল গান্ধীরই অস্বস্তি কিঞ্চিৎ বাড়িয়ে দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় (Abhijit Vinayak Banerjee)। লকডাউনের জেরে গরিব এবং প্রান্তিক মানুষকে যে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা রুখতে রেশন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। এবং সেই কাজে আধার কার্ড অনেকাংশে উপযোগী হতে পারে বলে মনে করছেন অভিজিৎবাবু। অভিজিতের মতে, আধার কার্ডের কেন্দ্রীয়করণের মাধ্যমে আরও সহজে প্রান্তিক মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। যা কিনা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে কংগ্রেসেরই(Congress)।
লকডাউন পরবর্তী অর্থনীতি বিষয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় অভিজিতবাবুকে বলতে শোনা যায়, “আধারের ভিত্তিতে রেশন দিলে ভাল হয়। তাহলে দেশের সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে যাবে। একজন পরিযায়ী শ্রমিক যদি নিজের বাড়ির শহরের বাইরে থেকেও রেশন তুলতে চান, তাহলে তিনি আধার কার্ড দেখিয়ে রেশন দোকান থেকে জরুরি জিনিস কিনতে পারবেন।” আধার কার্ডের অন্য একটি প্রয়োগের দিকও তিনি এদিন মনে করিয়ে দেন। আধারের কেন্দ্রীয়করণের পক্ষে সওয়াল করে অভিজিৎ বলেন, “আধার কার্ডের কেন্দ্রীয়করণ প্রয়োজন। ধরুন মুম্বইয়ে কোনও শ্রমিকের রেশনের প্রয়োজন। তিনি হয়তো শহরাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। মুম্বইয়ের কোনও একটা রেশন দোকানে তিনি বলতে পারবেন, এই দেখুন আমার আধার কার্ড। আমি মালদহ থাকি, বা দ্বারভাঙ্গা থাকি। আমার এতটা রেশনের প্রয়োজন। “
আধার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া ইউপিএ আমলে শুরু হলেও সাম্প্রতিক অতীতে এর বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এমনকী কেন্দ্র যখন সমস্ত সরকারি প্রকল্পে আধার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখনও তীব্র প্রতিবাদ করতে শোনা যায় কংগ্রেসের নেতাদের। আধার বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে যারা মুখর হয়েছিলেন, রাহুল গান্ধী তাদের মধ্যে একজন। সেই রাহুলের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেই অভিজিৎবাবু আধারের পক্ষে সওয়াল করলেন। যা নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.