নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে প্রথমবার বক্তব্য রেখেই বিতর্কে জড়ালেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় ‘স্টুপিড’ বলেন বিজেপি সাংসদ। অভিজিতের কথার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।”
মঙ্গলবার বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তা নিয়ে বুধবার আলোচনা হয় সংসদে। বাজেট তেমন জনমোহিনী নয় বলেই দাবি বিরোধীদের। অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই ইস্যুতে ঝাঁজাল আক্রমণ করেন বিজেপিকে। সাংসদ হওয়ার পর বাজেট আলোচনা সভায় প্রথমবার বক্তব্য রাখেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সেই সময় বিরোধী শিবির থেকে নানা মন্তব্য শুরু হয়। তাতেই মেজাজ হারান প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি আচমকাই ‘স্টুপিড’ শব্দ প্রয়োগ করেন। যার বাংলা তর্জমা ‘নির্বোধ’। এর পর রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করে তমলুকের বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভগবান শিবের আশ্রয় না নিয়ে রাহুল গান্ধীর উচিত মানুষের আশ্রয় নেওয়া।”
তাতেই কার্যত উত্তেজিত হয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদরা। প্রতিবাদ করতে গেলে অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অভিজিৎ। তিনি বলেন, “গডসেও জানেন না, গান্ধীও না। (স্টুপিড) নির্বোধের মতো কথা বলবেন না।” ‘স্টুপিড’ অসংসদীয় শব্দ। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেওয়ার দাবি জানান বিরোধীরা। প্রথমে বিবেচনার আশ্বাস। এবং পরে তা বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনী আবহে এক রবিবাসরীয় দুপুরে বোমা ফাটান। বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। সেই মতো ইস্তফা দেন। তার কয়েকদিন পর হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটপর্ব চলাকালীন বিতর্কে জড়ান। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করেন। তার জল গড়ায় নির্বাচন কমিশনেও। যদিও শেষমেশ বিরোধীদের হারিয়ে তমলুকে জয়ী হন অভিজিৎই। জেতার পর প্রথমবার সংসদে বক্তব্য রেখেও বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.