Advertisement
Advertisement

সন্তানরা বিদেশে, বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মৃতপ্রায় বৃদ্ধ

লজ্জা!

Abandoned by children elderly man found in Delhi flat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 28, 2018 1:44 pm
  • Updated:February 28, 2018 3:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত অবহেলিত অবস্থায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হল মৃতপ্রায় বৃদ্ধকে। বৃদ্ধের নাম অমরজিৎ। এক কামরার বদ্ধঘরে নিজেকে প্রায় গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন অমরজিৎ। তাঁর পায়ে একটি ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেটা বিষিয়ে গিয়েই সংক্রমণ ছড়ায়। নিয়মিত পরিচর্জার অভাবে পচন শুরু হয়েছে পায়ে। ঘরের বাইরে সেই দুর্গন্ধ বেরোতেই স্থানীয়রা অমরজিৎবাবুর খোঁজখবর শুরু করেন। তখনই ঘটনাটি জানাজানি হয়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ রোগাক্রান্ত বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকায়।

[পিএনবি কাণ্ডের জের, ৫০ কোটির বেশি অনদায়ী ঋণে এবার সিবিআই তদন্ত]

বছর বাহাত্তরের অমরজিৎবাবুর স্ত্রীর মৃ্ত্যু হয়েছে অনেকদিন হল। সন্তানরা পড়াশোনা করে কানাডায় চলে গিয়েছেন। তারপর থেকে দিল্লির বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অমরজিতের দেখাশোনার জন্য তেমন কেউ ছিল না। তিনি এক কামরার ঘরে একা থাকেন। বাড়ির বাকি ঘরগুলি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছিলেন। সেখান থেকে চার হাজার টাকা আয় হয়। পেনশন হিসেবে পান আড়াই হাজার টাকা। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া মাঝে মাঝে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। তিনিই যাবতীয় খাবার দাবার দিয়ে যান। তবে দীর্ঘদিন ধরে সেই আত্মীয়াও আর আসছেন না। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন অমরজিৎ। পায়ের ক্ষত থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতেই গত শনিবার পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রীতিমতো দরজা ধাক্কা দিয়েও অমরজিতের কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা ভেবেছিলেন মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু দরজা ভেঙে দেখা যায়, পায়ের ক্ষত নিয়ে অবহেলায় পড়ে আছেন তিনি। লোকজনকে দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিনের অনাহারে তাঁর শারীরিক অবস্থা শোচনীয়। তিনি কাঁদছেন। ধরেই নিয়েছিলেন এভাবেই নির্বান্ধব অবস্থায় মৃত্যু হবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের পর অসুস্থ বৃদ্ধের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। একা বাড়িতে ফেলে না রেখে এনজিও-র তত্ত্বাবধানে তাঁর পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করা হয়। তীব্র অভিমানে প্রথমে সেখানে যেতেও রাজি হননি অমরজিৎ। একটা সময় যেতে না চেয়ে ক্ষিপ্তও হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত হার মানেন।

[খারিজ করেছিলেন ডারউইনের তত্ত্ব, বিজ্ঞান দিবসে প্রধান অতিথি সেই মন্ত্রীই]

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধ। এই সময়ের মধ্যে তাঁর ছেলেমেয়েদের কখনও আসতে দেখা যায়নি। শুধু সপ্তাহে একদিন করে এক মহিলা আসতেন। সঙ্গে আনতেন বৃদ্ধের প্রয়োজনীয় খাবার দাবার। তিনিও বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আসছিলেন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement