সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ লোকসভায় প্রস্তাবিত বিজেপি-বিরোধী মহাজোটকে বড় ধাক্কা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৯-এ কোনওরকম জোটে শামিল হবে না আম আদমি পার্টি, সাফ জানিয়ে দিলেন কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোটের হাত ছেড়ে বিজেপি শিবিরে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এর পর আপের জোটে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত বিরোধীদের কাছে ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল হরিয়ানায় একটি দলীয় সভায় কেজরিওয়াল বলেন, যারা বিরোধী জোটে শামিল হয়েছে তাঁরা কেউ দেশের প্রকৃত উন্নতি চাই না। তাই আম আদমি পার্টি ২০১৯ লোকসভা ভোটে কোনও জোটে শামিল হবে না। বরং দিল্লির বাইরে একাধিক রাজ্যে একক শক্তিতে লড়াই করার কথা ভাবছে আপ। ইতিমধ্যেই কেজরিওয়াল ঘোষণা করে দিয়েছেন হরিয়ানায় সব আসনে প্রার্থী দেবে তাঁর দল। আপ যদি একা আলাদা ভাবে লড়ে তাহলে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গোয়া, দিল্লি, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস বেশ বিপাকে পড়তে পারে। বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়াই সুবিধা পেয়ে যেতে পারে বিজেপি।
আর যে বিরোধী জোটে শামিল হচ্ছে না এর পিছনে কংগ্রেসের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন অনেকে। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কংগ্রেসের কাছে জোটবার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় হোক আর আসন রফায় সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণেই হোক সেই প্রস্তাব মেনে নেননি রাহুল। বরং আম আদমি পার্টিকে জাতীয় স্তরে সেভাবে গুরুত্বই দিতে চায়নি কংগ্রেস। আসলে এর পিছনের কারণ হতে পারে দিল্লি, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে সরাসরি একের বিরুদ্ধে এক লড়াই করে এই দুটি দল। আম আদমি পার্টি আর কংগ্রেস যে এক ছাতার তলায় আসতে পারবে না তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের নির্বাচনে। আপের তরফে প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়েছিল, রাহুল গান্ধী যদি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফোন করেন তাহলেই কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেবেন আম আদমি পার্টি সাংসদরা। কিন্তু রাহুল কেজরিকে ফোন করেননি। এতে ক্ষুব্ধ আপ ভোটদানে বিরত থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত বিরোধী জোট থেকে একের পর এক দল সরে আসায়, তা এখন কার্যত বৃহত্তর ইউপিএ-তে পরিণত হয়েছে। কারণ যে দলগুলি এখনও বিরোধী শিবিরে রয়েছে তাঁরা কোনও না কোনও সময় বিরোধী ইউপিএ-র অন্তর্গতই ছিল। যদিও, আপের জোটে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না বিরোধী জোটের নেতারা। তাঁরা আশাবাদী, ভোটের পরে প্রয়োজন হলে বিরোধী শিবিরকেই সমর্থন করবেন কেজরিওয়াল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.