সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ কমে গেলেও বিতর্ক থামেনি। মঙ্গলবার আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিং অভিযোগ এনেছেন, অগ্নিবীর নিয়োগ করার আগে ধর্ম এবং জাতির পরিচয় চাওয়া হচ্ছে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে ব্যক্তির জাতি পরিচয় জানতে চাওয়া হত না। মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে সঞ্জয়ের মন্তব্য, আসলে ‘জাতিবীর’ বানাতে চাইছেন মোদি (Narendra Modi)। এই মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও।
অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন করতে কী কী নথিপত্র লাগবে, সেই বিবরণ দেওয়া একটি তালিকার ছবি টুইট করেছেন সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “মোদি সরকারের নোংরা চেহারা দেশবাসীর সামনে ফুটে উঠেছে। দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি বা জনজাতি মানুষকে কি সেনাবাহিনীর যোগ্য মনে করছেন না মোদি? ইতিহাসে প্রথমবার ভারতীয় সেনায় (Indian Army) যোগদানের জন্য প্রার্থীর জাতি পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। মোদিজি আপনি অগ্নিবীর তৈরি করতে চান নাকি জাতিবীর?” প্রসঙ্গত, একই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে জেডিইউও।
मोदी सरकार का घटिया चेहरा देश के सामने आ चुका है।
क्या मोदी जी दलितों/पिछड़ों/आदिवासियों को सेना भर्ती के क़ाबिल नही मानते?
भारत के इतिहास में पहली बार “सेना भर्ती “ में जाति पूछी जा रही है।
मोदी जी आपको “अग्निवीर” बनाना है या “जातिवीर” pic.twitter.com/fxgBre38Ft— Sanjay Singh AAP (@SanjayAzadSln) July 19, 2022
সেনার তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়লে কাস্ট সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। সবসময়ই ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) জন্য আলাদা করে কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়নি। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, যদি কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সেনা শহিদ হন, তাহলে তাঁর শেষকৃত্য করে সেনা। সেই কারণেও ধর্মীয় পরিচয় জেনে রাখা দরকার। তাহলে ধর্মীয় রীতি মেনে শেষকৃত্য করা যায়।
অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগ নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হবে অগ্নিপথ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা। নতুন করে অগ্নিপথ নিয়ে কোনও মামলা দায়ের করা হলে সেগুলিও দিল্লি আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.